আমাদের রক্তের রয়েছে দুইটি অংশ- রক্তরস ও রক্তকণিকা।আর রক্তকণিকা আবার তিন ধরনের- লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা।আজ আমরা শ্বেত রক্তকণিকা সম্পর্কে জানব।
শ্বেত রক্তকণিকা একধরনের রক্তকণিকা।একে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- দানাদার ও অদানাদার।
দানাদার এর মধ্যে রয়েছে নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল ও বেসোফিল।
আর অদানাদারের মধ্যে রয়েছে লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট। লিম্ফোসাইট অবশ্য বড় ও ছোট- এই দুধরনের হয়ে থাকে।
আমাদের দেহে সাধারণত প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে ৪০০০-১১০০০ টি শ্বেত রক্তকণিকা থাকে।যখন দেহে এর পরিমাণ ১১০০০ এর চেয়ে বেড়ে যাবে তখন সেই অবস্থাকে বলে লিউকোসাইটোসিস।আর পরিমাণ যখন ৪০০০ এর চেয়ে কমে যায় তখন সেই অবস্থাকে বলে লিউকোপেনিয়া।
আমাদের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা নানারকম কাজ করে থাকে।যেমন-
*এর ম্যাক্রোফেজ,ইওনিসোফিল ও নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস করে।
*এন্টিবডি তৈরী করে।
*হেপারিন ক্ষরণ করে।এই কাজটি করে বেসোফিল।আর হেপারিনের কাজ হলো রক্তকে জমাট না বাঁধতে দেয়া।
*ফাইব্রোব্লাস্ট তৈরী করা।মূলত লিম্ফোসাইটই ফাইব্রোব্লাস্টে পরিণত হয়।
*এন্টিহিস্টামিন ফাংশন।
*কেমোট্যাক্সিস।
*ধাঙ্গর এর মত কাজ করা।
অর্থাৎ, শ্বেতরক্তকণিকা আমাদের শরীরের শত্রুকে ধ্বংস করে।যোদ্ধার মত কাজ করে।তাই একে Mobile Defensive Unit ও আণুবীক্ষণিক সৈনিক বলা হয়।তাই আমাদের শরীরে যেন এর পরিমাণ বাড়তে বা কমতে না পারে সেদিকে আমাদের সচেষ্ট থাকা উচিত।
©দীপা সিকদার জ্যোতি