কোনো মানুষ যদি নিয়মিত ভালো কাজ করে তবে নিয়মিত কাজের একটি প্রভাব বা অভ্যাস তার মধ্যে তৈরি হয়। যেমন নিয়মিত নামাজ পড়লে নামাজের অভ্যাস তৈরি হয়, রোজা রাখলে রোজা পালনের অভ্যাস তৈরি হয় আবার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ধৈর্যধারণ করলে তাও নিয়ন্ত্রিত হয়। আর মুমিন মুসলমানের এ ভালো অভ্যাসগুলো তৈরিতে রমজান এক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রমজান মাস আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক রহমতের মাস। পবিত্র রমজান মাসের সংযমী চেতনার প্রতি সবাই আমরা আন্তরিক থাকি । অর্জিত হয় জীবনের কতকগুলো ভালো অভ্যাস। তবে রমজান মাস শেষ হওয়ার পরও যেন সেই অভ্যাস গুলো চিরস্থায়ী থেকে যায় সেদিকে লক্ষ্য করা আরোও বেশি জরুরী।
- দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর আমাদের রোজা রাখতে আর কষ্ট থাকে না। তাই রোজা শেষে আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে ২ দিন রোজা পালন করার চেষ্টা করবো । প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার। রাসূল (সাঃ) এভাবে রোজার অভ্যাস সারা বছরই বজায় রাখতেন। আমরা উম্মতগণও এই অভ্যাস বজায় রাখবো।
- গরীব দুখীদেরকে দান করার অভ্যাস অব্যাহত রাখবো। কেননা দান-সহযোগিতা মানুষকে মানসিক প্রশান্তি দেয়। রমজানে যেভাবে বেশি সাওয়াব লাভের আশায় মানুষ দান-সাদকাহ করে, রমজান পরবর্তী সময়েও গরিবদের দান-সাদকাহের অভ্যাস চালু রাখবো। দানের কার্যকারিতা শুধু আখেরাতে নয়, বরং দুনিয়াতেও লাভ হয়।
- কুরআন তেলাওয়াত মানুষের মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তির জন্য মহাসহায়ক। রমজান মাসে একটি সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস তৈরি হয়। যেভাবে রমজান মাসে সুনির্ধারিত সময়ে কুরআন তেলাওয়াত করে থাকি সেভাবে রমজানের পরেও কুরআন বুঝার ও পড়ার নিয়মিত চেষ্টা অব্যাহত রাখবো , একটা সময় কুরআন বুঝা সহজ হয়ে যাবে।
- নিয়মিত নামাজ আদায় করার অভ্যাস অব্যাহত রাখবো। নামাজ বেহেশতের চাবি। এর কোনো বিকল্প নেই। সবকাজ বাকি রেখে সময়মত আগে নামায আদায় করবো। যারা রমজান এবং রমজানের পরে আল্লাহর কাছে নিয়মিত দিনে-রাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও দোয়ার অভ্যাস গঠন করবে, তারাই সফলকাম হবে।
- রমজান মাসে প্রতিবেশীদের ইফতার আদান প্রদান হয়। ফলে মানুষের মধ্যে সামাজিকতা ,সৌজন্যতা এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। রমজান শেষ হলেও এই আন্তরিকতা আমরা বজায় রাখবো। তাতে পাস্পরিক সুসম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে একটি সুন্দর সমাজ তৈরি হবে ।