করোনায় লকডাউনে আন্তঃজেলা বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দূরপাল্লার বাসগুলো রাতের অন্ধকারে ছুটে চলেছে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে। এই বাসগুলো সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার স্টিকার রয়েছে। অন্যদিকে, যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস এবং প্রাইভেটকার গুলো দিনের বেলা চলছে। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
ঈদকে ঘিরে সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে লোকজন বাড়ি ফিরছেন। ড্রাইভার, মালিক এবং যাত্রীরা পাবলিক কাউন্টারে টিকিট বিক্রির উপায় হিসাবে টিকিট কাউন্টার হিসাবে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করেছেন।
সোমবার (১০ মে) রাত সোয়া দশটার দিকে ফুলবাড়ী উর্বশী সিমেনা হল এলাকায় দেখা গেছে, আহাদ, কেয়া এবং অন্যান্য দূরপাল্লার বাস ঢাকাগামী যাত্রীদের বহন করে। যাত্রীরাও গাড়িতে হুমড়ি খাচ্ছেন। এরপরে ঢাকাগামী ইউনাইটেড পরিবহন, সিফাত পরিবহন ও অনিক পরিবহনের তিনটি বাস একের পর এক দিনাজপুর ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে ফুলবাড়িতে আসে। এদিকে, মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে ফুলবাড়ির ঢাকা মোড় ও উর্বশী সিনেমা হল এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাত্রীদের নিয়ে দর কষাকষি চলছে। এর সাথে জড়িত স্থানীয় বাস কাউন্টার মাস্টার এবং স্বয়ং মালিক-চালক।
স্থানীয় কাউন্টারমাস্টারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বলেছিল যে জনসাধারণের মধ্যে কাউন্টার খোলা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। তাই যাত্রীদের আসন এবং ভাড়া ফেসবুক-মেসেঞ্জার ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হচ্ছে। চালক-হেলপার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন যে তারা গাড়ি চালানোর জন্য রোড চেকপোস্টে পুলিশকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়ে দিলে শর্ত শিথিল করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশকে একাধিক জায়গায় অর্থ দিতে হয়। তাই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি ফখরুল ইসলাম জানান, উর্বশী সিনেমা হল, ঢাকা জংশন এবং সেনা মার্কেট এলাকায় যানবাহন চলাচল করা হচ্ছে। কোনও দূরপাল্লার বাসের অনুমতি নেই। আর যাত্রীদের বৈধ মুভমেন্ট পাস থাকায় কারণে কেউ আটক করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে না দেওয়ার জন্য প্রতি রাতে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে।