করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন (ভারত ভেরিয়েন্ট) নিয়ে রংপুর বিভাগে আতঙ্ক বাড়ছে । তবে এ বিভাগের ৫টি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তবে এতে সংক্রমণশীল করোনার এই ভেরিয়েন্টটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আর এমন শঙ্কায় কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ রোববার (৯ মে) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে আরো দুই বাংলাদেশি ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। তবে তাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রোববার ভারত থেকে আসা দুই বাংলাদেশি কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে এসেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী এই কথা জানায় । তাদের ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তবুও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আর । এখানে তাদের আবারো নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তবে পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগে ৫টি স্থল বন্দর রয়েছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। তবে বন্দরগুলো হলো লালমনিরহাটের বুড়িমারী,পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, দিনাজপুরের হিলি, রাধিকাপুর ও কুড়িগ্রামের রৌমারী তুরা রোড। আর এসব স্থল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত থাকলেও সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও বিশেষ ব্যবস্থায় কেউ কেউ ভারত থেকে আসছেন। তবে এ ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আর সাবধান না হলে ভারতীয় ধরন যেকোনো সময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে রংপুর বিভাগে ১৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এ দিকে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে,।তবে একই সময়ে দিনাজপুর জেলায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ নিয়ে বিভাগে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭শ’ ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১৮ হাজার ১শ’ ৮৭ জন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এছাড়া ৩শ’ ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৪১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দিনাজপুুরে ৫, কুড়িগ্রামে ৪, নীলফামারীতে ৪ ও গাইবান্ধা জেলায় ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আর এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দিনাজপুুর জেলায় ৫ হাজার ৪শ’ ৯০ জন আক্রান্ত ও ১শ’ ৩২ জনের মৃত্যু, রংপুর জেলায় ৪ হাজার ৭শ’ ৩৫ জন আক্রান্ত ও ৮২ জনের মৃত্যু, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ হাজার ৬শ’ ৫০ জন আক্রান্ত ও ৩৮ জনের মৃত্যু, গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৭শ’ ২১ জন আক্রান্ত ও ২১ জনের মৃত্যু, নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৫শ’ ৪২ জন আক্রান্ত ও ৩৪ জনের মৃত্যু, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ হাজার ১শ’ ৭২ জন আক্রান্ত ও ১৮ জনের মৃত্যু, লালমনিরহাট জেলায় ১ হাজার ৪৭ জন আক্রান্ত ও ১৩ জনের মৃত্যু, পঞ্চগড় জেলায় ৮শ’ ৩০ জন আক্রান্ত এবং ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এদিকে করোনা সন্দেহে বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১ লাখ ৪ হাজার ৭শ’ ৩৬ জন। একই সময়ে ৩২৭ জনসহ মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।