লাইলাতুল কদর পবিত্র কোরআন নাজিলের রাত। রবিবার রাতে ইসলামের অনুসারীদের জন্য এই শুভ উপলক্ষ্য উদযাপিত হবে।
অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করার সওয়াব এ কদরের রাতে ইবাদতের সওয়াবের চেয়েও বেশি।
শবে কদরের পবিত্র রাতে কোথাও এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন গবেষণা ও লক্ষণের আলোকে প্রবীণরা 27 শে রমজানের রাতে শব-ই-কদর দিবসে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
যেমন, আজ সূর্যাস্তের পরে শবে কদরের রাত শুরু হবে এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ও গৌরবময়। এই রাতের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামক একটি বিশেষ সূরা অবতীর্ণ করেছেন। ফলস্বরূপ, এই রাতটি বছরের অন্যান্য রাতের তুলনায় গুরুত্ব এবং তাত্পর্য হিসাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
মূলত, রমজানের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাতে শবে কদরের বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং এই সম্ভাবনা রমজানের শেষ অবধি অবধি রয়ে গেছে।
শবে কদর সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা।) বলেছেন, ‘যে faithমান ও থাবাবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে। আর যে ব্যক্তি faithমানের সাথে এবং প্রতিদানের আশায় কদরের রাতে (ইবাদত) দাঁড়িয়ে থাকে তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। ‘- সহিহ বুখারী
এই রাতের সময়কাল সম্পর্কে বিশেষভাবে কিছুই বলা হয়নি। তবে অধিকতর অধিক পরিমাণে নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, ধিকর-আজকার তাসবীহ তিলাওয়াত উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আয়েশা সিদ্দিক (রহঃ) হযরত রাসুলুল্লাহ (সা।) কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! যদি আমি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি তবে সে রাতে আমি Godশ্বরের কাছে কী প্রার্থনা করব? হজরত রাসুলুল্লাহ (সা।) বলেছেন, আপনি বলবেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিবুল আফওয়া; ফাফু আন্নি মানে হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন। – ইবনে মাজা
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও রাত্রে অতিরিক্ত ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, এবং পাপের ক্ষমা ও বৃহত্তর পুরষ্কারের আশায় রাত কাটাবে। শবে কদর উপলক্ষে সোমবার সরকারী ছুটি হবে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো। আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন। বাণীতে তারা শবে কদরের এই পবিত্র রাতে করণা মহামারী থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে ইবাদত ও দোয়া করার আহ্বান জানান।