রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেছেন, করোনার মহামারী রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতিকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। রংপুর ডেইলী কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছিলেন যে রংপুর বিভাগের অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। অতএব, পশ্চাৎপদ রংপুর অঞ্চলের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কৃষিনির্ভর শিল্পায়নের বিকল্প নেই।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি বলেন, রংপুর বিভাগে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। করোনার মহামারী চলাকালীন দেশে পোশাক সহ বেশ কয়েকটি কলকারখানা বন্ধ থাকায় রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। এ সময় কারখানার চাকা বন্ধ থাকলেও কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন। করোনা এখনও পর্যন্ত এই অঞ্চলে কৃষিকাজ এবং কৃষকদের থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। বন্ধ হয়নি কৃষিপণ্যের উৎপাদন। ‘রংপুরে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় গ্রামে গ্রামে দুই লক্ষ লোক চাকরি হারায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, করোনার সঙ্কটের কারণে রংপুর অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন এবং রাজধানী fromাকা থেকে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। শুধু স্বল্প আয়ের মানুষই নয়, মধ্য আয়ের মানুষও চাকরি হারাচ্ছেন এবং গ্রামে চলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিও চাপে রয়েছে। তাই রংপুর বিভাগের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সরকারকে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বর্তমান সরকারকে রংপুর বিভাগে একটি বা দুটি মেগা প্রকল্প স্থাপনের পরামর্শ দিয়ে ব্যবসায়ী নেতা বলেন, মহামারীটিতে লকডাউন ঘোষণার ফলে সাধারণ মানুষ বহুমাত্রিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্যাডেলার, হকার, ভ্যান বিক্রেতা থেকে শুরু করে মাঝারি ব্যবসায়ীদের সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যারা কাজ করতেন তাদের অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের চাকরি আছে, বেতন পান না। তাই এই বাজেটে কর্মসংস্থানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার।