ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন এন্ড জনসন এবং মর্ডানার পরে এবার WHO এর অনুমোদন পেল চীনের তৈরি সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চাইনিজ ফার্ম সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিন কে ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন হিসেবে অনুমোদন দিল। এটিই প্রথম কোন পশ্চিমা দেশ কর্তৃক তৈরিকৃত ভ্যাকসিন যা WHO এর সমর্থন লাভ করলো ।
চীন ইতোমধ্যে নিজ দেশে এবং অন্য দেশে অবস্থানগত সব মিলিয়ে কয়েক মিলিয়ন লোককে এই ভ্যাকসিন দিয়েছে। তবে বিভিন্ন দেশের পৃথক পৃথক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকরা বিশেষত দরিদ্র দেশগুলোতে যেমন- আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য চাইনিজ এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব অল্প পরিমাণে প্রকাশিত তথ্যের কারণে চীনা ভ্যাকসিনের শতভাগ কার্যকারিতা এখনো অনিশ্চিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে সিনোফর্ম ভ্যাকসিন যোগ করার ফলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং জনগোষ্ঠীর জীবন ঝুঁকিতে আছে এমন দেশগুলোতে তাদের সুরক্ষা দিতে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের গতি দ্রুত বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া পরামর্শ দিয়েছে যে 18 বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য দুটি ডোজ দিতে হবে ।
কোন ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদন পাওয়ার অর্থ হলো, এটি নিরাপদ এবং কার্যকরী। ডাব্লুএইচওর মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন যে, ভ্যাকসিন উদ্ভাবন কাজটি কোন দেশকে তাদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের ত্বরান্বিত করার আত্মবিশ্বাস দেয় । এর অর্থ হ’ল এই ভ্যাকসিনটি বিশ্বব্যাপী কোভাক্স প্রোগ্রামে ব্যবহার করা যায় এবং যার লক্ষ্য থাকে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে প্রায় দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা।
জরুরী ব্যবহারের জন্য চীনা ভ্যাকসিনের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্তটি কোভাক্স প্রোগ্রামকে যথেষ্ট পরিমাণে উৎসাহ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত ভ্যাকসিনের রফতানি বন্ধ করে দেয়ার কারনে এই প্রোগ্রাম বর্তমানে সরবরাহের ঘাটতির ফলে অনেকটাই পঙ্গু হয়ে গেছে বলা যায় । তাই চাইনিজ এই ভ্যাকসিন অনেকটাই এই ঘাটতি পূরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভ্যাকসিনটি এখন পর্যন্ত প্রায় 50 মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম ।