ইউকে ভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রান্ট সফট্ওয়ার (বিডি) লিঃ এবং বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপ এর যৌথ উদ্যোগে দেশে নোকিয়া ব্র্যান্ড লোকালি স্মার্ট ফোন বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে বিআরটিসি থেকে প্রভিশনাল লাইসেন্স ও পেয়েছে এই উদ্যোগ। এই লাইসেন্স কার্যকরী থাকবে আগামী তিন বছর পর্যন্ত। এই কাজে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়েছে ৪০ মিলিয়নের মতো। যেই ফ্যাক্টরিতে স্মার্টফোন ম্যানুফ্যাকচার হবে তা তৈরি হয়েছে গাজীপুর, হাইটেক সিটিতে। এখানে প্রায় ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নোকিয়া চার বছর আগে গ্লোবাল স্মার্টফোন বাজারে প্রত্যাবর্তন করে। নোকিয়ার ফিরে আসার পেছনে যে সংস্থাটি মুখ্য ভূমিকা রেখেছে তা হল এইচএমডি। এই সংস্থাই মূলত নতুন মাত্রার নোকিয়ার গ্লোবাল স্মার্টফোন বাজারে আনে এবং ধীরে ধীরে তার বাজারের শেয়ার বিকাশ করে ব্র্যান্ডটিকে পুনরুদ্ধার করে।
নোকিয়া অবিস্মরণীয় ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ফোন ব্র্যান্ড হিসাবে থাকলেও তার পূর্ববর্তী উত্তরাধিকার থেকে অনেক পিছনে রয়েছে। তবে ব্লাটওয়্যার মুক্ত ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতার প্রতি নোকিয়ার প্রতিশ্রুতি এটিকে একটি আলাদা পরিচয় বজায় রাখতে সহায়তা করেছে বর্তমানে। বিশেষত স্মার্টফোন বাজারের এন্ট্রি-স্তর এবং বাজেট বিভাগগুলিতে। ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশি স্মার্টফোন বাজারেও একই বিভাগগুলিতে বেশি গুরুত্ব দিবে বলে কথা দিয়েছে।
নোকিয়া বাংলাদেশে স্মার্ট ফোন উৎপাদন শুরু করার পরে, দেশটি অ্যাপল, শিয়াওমি এবং হুয়াওয়ে বাদ দিয়ে বিশ্বের প্রায় সমস্ত নামী মোবাইল ব্র্যান্ডের উৎপাদন ইউনিটগুলির হোস্ট করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইউনিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রকিবুল কবির বলেছিলেন, “আমরা বাংলাদেশি মেইড্ নোকিয়া স্মার্টফোন তৈরি করব। আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে যদি সবকিছু হয়, বাংলাদেশী গ্রাহকরা শীঘ্রই স্থানীয়ভাবে তৈরি নোকিয়া হ্যান্ডসেটগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।”
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১৩টি লাইসেন্সড ফোন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি কোম্পানি লোকালি হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে থাকে। লোকাল ফ্যাক্টরি গুলো মোটের প্রায় ৮৫% ফোন উৎপাদন করে। দেশে মোট স্মার্ট ফোন চাহিদার ৫৫% এই ডোমেস্টিক প্রডাকশন মিটাতে সক্ষম।