সীমিত সংখ্যক বাস ৬ মে থেকে জেলার অভ্যন্তরে যাত্রা শুরু করবে রবিবার (২ মে) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এটির সুপারিশ করা হয়েছিল।
করোনার ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনটি ৫ মে বাড়ানো হয়েছে। তবে ঈদের তিন কার্যদিবস থাকায় সরকার শিথিল করে আবার লকডাউন বাড়ানোর কথা ভাবছে। এর বাইরেও সরকার গণপরিবহন পরিসরে চালানোর কথা ভাবছে। পরবর্তী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, তা 5 তারিখের আগে জানানো হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ১৪ ই এপ্রিল থেকে সারাদেশে ৫ মিলিয়ন পরিবহন শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। প্রতিদিনের এই শ্রমিকদের পরিবার এখন অনাহারে। তা ছাড়া তাদের জীবন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাস ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। বাস চলাচল না করায় সাধারণ মানুষ মাইক্রোবাস ভাড়া করে ট্রাকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। মোটেও ঘোড়া না হওয়ার চেয়ে দরিদ্র ঘোড়া ভাল।
ঘটনাচক্রে, করোনার ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে সরকার প্রথমে 14 থেকে 22 এপ্রিলের মধ্যে সারাদেশে একটি কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিল। করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস না হওয়ায় লকডাউনটি এপ্রিল ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করে।