প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মিসরের নীল নদের বদ্বীপে শতাধিক প্রাচীন সমাধির সন্ধান পেয়েছেন । দেশটিতে পাঁচ হাজার বছরের বেশি সময় আগে প্রাচীন ফারাওদের উত্থান ও সাম্রাজ্য বিস্তারের আগের বলে মনে করা হচ্ছে এসব পুরোনো সমাধি । এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে মিসরের পর্যটন ও পুরাতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ।
মিসরের রাজধানী কায়রোর উত্তরাঞ্চলে দাকাহলিয়া প্রশাসনিক বিভাগে সন্ধান পাওয়া ১১০টি সমাধির মধ্যে ৩৭টি হিকোশ আমলের বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে ও আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এটা ।এগুলো ১৬৫০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের সময়ের হিসাবে । অঅর ওই সময় এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে হিকোশরা মিসরে গিয়েছিল। তবে হিকোশ সমাধিগুলো অর্ধ-আয়তাকার।
প্রাচীন বুতো আমলের সন্ধান পাওয়া ৬৮টি সমাধি। আর যার সময়কাল ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি। তবে বুতোদের কবরগুলো দেখতে ডিম্বাকৃতির। আর মায়ের পেটে ভ্রূণ যেভাবে থাকে, অনেকটা সেভাবে মরদেহ রাখা। আর বেশির ভাগ মরদেহের মাথা পশ্চিম দিকে ও শরীর বাঁ কাত করে রাখা। তবে বাকি পাঁচটি সমাধি খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ সালের আগের নাকাদা থ্রি যুগের। আর মিসরের প্রথম সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনের ঠিক আগেকার সময় ছিল সেটি। আর এসব সমাধি দেখতে নলের মতো ।
কায়রোর উত্তরাঞ্চলে সন্ধান পাওয়া এসব সমাধি প্রাচীন মিসরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাসনকালের মধ্যবর্তী সময়ের ইতিহাসের ওপর আলো ফেলবে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলছেন। এটি অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক একটি সমাধিক্ষেত্র এ বিষয়ে কায়রোর আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইজিপ্টোলজির অধ্যাপক সালিমা ইকরাম বলেছেন। তার কারণ, প্রাচীন মিসরের প্রথম দিকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়কালের নিদর্শন এখানে রয়েছে। আর কীভাবে মিসরের আদি বাসিন্দারা আর অভিবাসীরা এতে এখানকার আদি সংস্কৃতিতে কেমন পরিবর্তন এসেছিল—একসঙ্গে বসবাস করতেন ,এমন অনেক কিছুই জানতে কাজ করছেন গবেষকেরা ।
সাম্প্রতিক খননে শুধু সমাধি নয়, প্রাচীন আমলের চুলা, মাটির তৈরি ইট, মাটির জাহাজ, তাবিজ, রত্নপাথর, কানের দুলসহ আরও নানা নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে মিসরের সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে।