দেশের চলমান লকডাউনে গণ পরিবহন সেবা বন্ধ রয়েছে গত ১৪ এপ্রিল থেকে। এতে প্রায় এতে ৫০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার ( ৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলনে তাই সড়ক পরিবহন শ্রমিকেরা গন পরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবি রাখেন। গণপরিবহন চালুর দাবি বাস্তবায়নে রোববার বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি মঙ্গলবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয় এই সংঘটনের পক্ষ থেকে।
সংঘটনটির অভিযোগ হলো, সারা বাংলাদেশে যদি লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাচারি সব কিছু বন্ধ থাকত যথাযথ ভাবে তাহলে তাদের গণপরিবহন বন্ধ রাখতেও সমস্যা ছিল না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় অথবা সীমিত আকারে গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচা বাজার, অফিস আদালত অনেক কিছুই চলছে এখন। তাই শুধু গণপরিবহন বন্ধ রেখে এভাবে ৫০ লাখ কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকের উপার্জনের পথ বন্ধ করার কি মানে? এতে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তাই তারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রসঙ্গের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সহ সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা মাননীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বলেছি শতভাগ স্বাস্খ্যবিধি না মানলে যে কোন শাস্তি আমরা মেনে নেব- এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।”