সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নামের একটি রাজনৈতিক দল হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধসহ সরকারের কাছে ।
তবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এম এ মতিন হেফাজতে ইসলামকে ‘নৈতিক স্খলন’ ও ‘জঙ্গিবাদী’ কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত করে নিষিদ্ধের দাবি জানান। তিনি আর বলেন, জঙ্গি সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে হেফাজতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কওমি-হেফাজতের অর্থ-মদদদাতারা যে দলেরই হোক না কেন, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এম এ মতিন্লে এই কথা বলে, । আর রিসোর্ট-কাণ্ডে গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তিনি।
একই সিলেবাস-ভুক্ত করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালনার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাকে ।
আর এম এ মতিন বলেন, ‘জঙ্গি সম্পৃক্ততার’ কারণে খেলাফত মজলিশের নিবন্ধন বাতিলসহ দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
হেফাজতকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছিল ইসলামী ফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে তাণ্ডবের ঘটনার পর ।
এ বিষয়ে বারবার সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও তা মানা হয়নি কিন্তু সরকার তা করেনি এরপর ২০১৪,২০১৬, ২০১৭ সালে তা কাযকার হয নি ।কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস দাবি করেন, হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন তবে হেফাজত ইসলামের আগের । তবে আর জঙ্গি সংগঠন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে উল্টো ২০১৭ সালে কওমি মাদ্রাসার সনদকে স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেয় সরকার।
নেতা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান, আবু সুফিয়ান আবেদী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, ছাদেকুর রহমান হাশেমী, কাজী মুহাম্মদ সোলায়মান চৌধুরী, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ, অধ্যক্ষ তৈয়ব আলী প্রমুখ ইসলামী ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ।