হাইপারসোমনিয়া কী?
➤সাধারণত, হাইপারসোমনিয়া এমন একটি অবস্থা, যেখানে আপনি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালেন। তবুও দিনের বেলায় অত্যধিক ঘুম অনুভব করেন। অথবা রাতে একদমই হালকা ঘুমিয়ে সারা দিনমান তন্দ্রা অনুভব করেন।
অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। টেনশন/ডিপ্রেশনে থাকলে অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। কারো সহজে ঘুমই আসে না আবার কেউ কেউ এত ঘুমায় যে ঘুমের জন্য অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
আমার নিজের ও হাইপারসোমনিয়া হয়।
হাইপারসোমনিয়া হয়, আমি যখন টেনশনে থাকি।
আমি তখন কিছু নিয়ম মেনে চলি,তাতে আমার এই সমস্যাটা আর থাকে না।
পারলে আপনারাও চেষ্টা করতে পারেন।
নিয়ম:
১.কম খাই। অর্থাৎ ভরা পেটে খাবার খাই না।কারণ তাতে খাদ্য পরিপাক করতে পাকস্থলীকে এক্সট্রা এনার্জি ব্যয় করতে হয়।আর এক্সট্রা এনার্জি ব্যয়ে আমাদের শরীর খানিকটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর ঘুমের মাধ্যমে শরীর সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।ফলে আমাদের ঘুম পায়।
২.মস্তিষ্ক সতেজ থাকলে ঘুম ঘুম ভাব কম হয়, আর মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে পারে পানি। এজন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে।
৩.সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে এক্সারসাইজ +জগিং+সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকা।
৪.যে ঘরে থাকেন ঐ ঘরে সরাসরি সূর্যের আলো+বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করা। দিনের বেলায় প্রাকৃতিক আলোয় যেন আপনার ঘর ঝলমল করে।
৫.যতটা সম্ভব গায়ে রোদ লাগানো।
৬.দুপুরে না ঘুমানোই ভাল তবে ঘুমালে ৩ টার আগেই ঘুমাতে হবে।
৭.বিকেল ৫ টার পর চা-কফি পান না করা।
৮.বেশি রাত না জেগে ১০-১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়া। বেশি ঘুমানো যাবে না। একটি স্লিপ সাইকেল পূর্ণ করতে ৯০ মিনিট সময় লাগে। সেই হিসেব করে আপনি গড়ে সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা অথবা ৭ ঘন্টা ৩০মিনিট ঘুমোতে পারেন। কোনো ভাবেই এর বেশি ঘুমানো যাবে না।
এজন্য এলার্ম সেট করে রাখতে হবে। তবে এলার্ম ক্লক অবশ্যই এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন এলার্ম যখন বাজবে আপনাকে বেড থেকে উঠে গিয়ে এলার্ম অফ করতে হয়।
৯.রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে ফোন+ল্যাপটপ ইউস করা বন্ধ করতে হবে অথবা টোটালি সাইলেন্ট করে রাখতে হবে। আর যখন ঘুমাবেন তখন ঘর পুরো অন্ধকার করে হালকা ফ্যান ছেড়ে রিলাক্স মুডে ঘুমাতে হবে।
১০.বিছানা এড়িয়ে চলুন। ঘুমানো ছাড়া আর কোনো কাজে বিছানা ব্যবহার করবেন না।অনেকেই বিছানায় বসে পড়ে, খাবার খায়, পড়ার ফাঁকে রেস্ট নিতেও বিছানায় যায়। এটা করবেন না। কারণ বিছানা আমাদের ঘুমানোর স্থান। এটা কিন্তু আমাদের অবচেতন মন ও জানে। সো,আপনি যখন বিছানায় যাবেন তখন অবচেতন মন ভাববে আপনি ঘুমাতে চান। ফলে ঘুম চলে আসতে পারে।
আপনি কিছুদিন এসব নিয়ম মেনে চললে সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন,ইনশা-আল্লাহ্।
reporter: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।