আমাদের খুবই স্পর্শকাতর অঙ্গ হলো আমাদের চোখ।চোখ দিয়ে আমরা চারপাশের সবকিছু দেখি।পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করি।আজ চোখ নিয়ে বিস্তারিত জানা হবে।
আমাদের চোখের লেয়ার তিনটি।
বাইরের ফাইব্রাস লেয়ার,
মাঝের ভাস্কুলার লেয়ার আর
ভেতরের দিকে রয়েছে নার্ভাস লেয়ার যাকে রেটিনা বলেও ডাকা হয়।
বাইরের ফাইব্রাস লেয়ারের মধ্যে রয়েছে কর্ণিয়া এবং স্ক্লেরা।কর্ণিয়া স্বচ্ছ হলেও স্ক্লেরা অস্বচ্ছ।এই কর্ণিয়া ও স্ক্লেরার বাইরে যে আবরণ থাকে তার নাম কনজাংটিভা।
মাঝখানের ভাস্কুলার লেয়ারের অন্তর্গত হলো করোয়েড,সিলিয়ারি বডি এবং আইরিস।আইরিসে থাকে আইরিস মাসল।আর এর একদম মাঝ বরাবর থাকে পিউপিল নামক ছিদ্র যা দিয়ে আলো চোখে প্রবেশ করে।আইরিস এবং পিউপিল সংকোচন প্রসারণের মাধ্যমে চোখে আলোর প্রবেশকে নিয়ন্ত্রণ করে।
চোখে লেন্স থাকে।এই লেন্স মূলত একটি দ্বিউত্তল লেন্স।এছাড়াও থাকে তিনটি চেম্বার:
সামনের চেম্বার
পেছনের চেম্বার এবং
ভিট্রিয়াস ক্যাভিটি।
সামনের এবং পেছনের চেম্বারে থাকে অ্যাকুয়াস হিউমার যাকে আমরা চোখের পানি হিসেবে জানি।আর ভিট্রিয়াস ক্যাভিটি নামক সবচেয়ে বড় চেম্বারে থাকে ভিট্রিয়াস হিউমার।এর গাঠনিক উপাদান হলো ৯৯% পানি, কিছু লবণ, মিউকোপলিস্যাকারাইড এবং হায়াল্যুরোনিক এসিড।
চোখের প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে কর্ণিয়া, অ্যাকুয়াস হিউমার, লেন্স এবং ভিট্রিয়াস হিউমার।তবে প্রধান প্রতিসারক মাধ্যমটি হলো কর্ণিয়া।
চোখের রেটিনায় থাকে দশটি লেয়ার।
আর আমরা যেটিকে কান্না বা চোখের পানি বলে থাকি সেটি নিঃসৃত হয় ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে।
©দীপা সিকদার জ্যোতি