তবে প্রচণ্ড গরমে সবার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তবে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে লবন বেরিয়ে যায়। আর তাই অল্পেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হয় গ্রীষ্মে। পানীয় খাবারের উপরেই নির্ভর করতে হয় বেশির ভাগ সময়ে এই গরমে মশলা জাতীয় খাবার বাদ দিতে হয়।
যাতে পর্যাপ্ত পানি আছে গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত। তার কারণ, গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তা ছাড়া কিছু খাবার শরীরের গরম কমাতেও সাহায্য করে থাকে। তবে গরম থেকে বাঁচতে খেতে হবে শরীর ঠান্ডা করা খাবার আর শরবত। শরবত খাওয়ার ফলে খাবার হজমও হয় সহজে।
১. তরমুজ: গরমে শরীরে দেবে প্রশান্তি ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ । আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েক টুকরা তরমুজ রাখতে পারেন তাই এই সময়। আপনার শরীরকে আরাম দেবে তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই পানি থাকায়।
২. শসা: অনেকটা সাহায্য করতে পারে গরমে একটা শসা আপনাকে ঠান্ডা রাখতে। তবে শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। আর বাইরে গরম থাকলে তাই একটা শসা খেয়ে দেখুন, মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ঠান্ডা থাকবে।
৩. পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতাও ভালো খাবার ঠান্ডা ও প্রশান্তির জন্য । পুদিনাপাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে গরম কমাতে অনায়াসে নানাভাবে।পুদিনাপাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে ।
৪. সবুজ শাক:তবে সবুজ পাতার শাকে কম ক্যালরির পাশাপাশি থাকে ৯২ শতাংশ পানি, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আর আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ।
৫. দই: দইও ভালো খাবার গরমের খাবার হিসেবে। তবে বিশেষ করে টকদই। আর দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছিও খেতে পারেন। সেসবও গরমের খাবার হিসেবে খেতে পারেন । তবে এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায়,।আর তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা দকদই খেলেও ভালো ফল পাবেন। কারণ, আপনার শরীরকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে দইয়ের ৮৫ শতাংশ পানি ।