গুনে গুনে ঊনিশটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছি।
একটিরও উত্তর আসেনি,
হতে পারে তুমি কিছু চিঠি
খুলেও দেখোনি।
বৃদ্ধা-তর্জনী-মধ্যমা আঙ্গুল তিনটি
হরতাল ডেকে বসেছে,
তোমাকে চিঠি না লেখার হরতাল।
চিঠি লেখার জন্য যে শুভ্র
কাগজগুলো ব্যবহার করতাম,
তারাও আজ রেগে রক্তিম
বর্ণ ধারণ করে আছে।
বেশ কয়েকটা কলম বদলিয়েছি,
ওরা সবাই তোমাকে নিয়ে
অভিযোগ করে বলে।
আজ যে নতুন কলামটি
নিলাম,সেও দেখি তীরবিদ্ধ
আহত সিংহের ক্ষোভ বুকে
নিয়ে ফুঁসে উঠে অতিরিক্ত
কালি মাখিয়ে দিল
তোমাকে নিয়ে লেখা
কিছু অনুভূতির গায়ে।
এত বাধা সত্ত্বেও আমি চিঠি লিখি।
তুমি পড়বে না জেনেও
কোনো এক উদাস বিকেলে
প্রজাপতির রঙ্গিন ডানা থেকে
কয়েক প্রকার রং ধার নিয়ে
তোমাকে ছ’খানি চিঠি লিখে
ঠিকানাবিহীন খামে উড়িয়ে দিয়েছি
শখের বশে।
আমার শাড়ির মতো
অক্ষরের পাড়-বোনা
বারো হাত লম্বা একখানা
চিঠি আমার নরম হাতের
পরশে বেশ যত্ন নিয়ে
ভাঁজ করে রেখে দিয়েছি
তালাবদ্ধ আলমারির গোপন ড্রয়ারে।
তোমাকে লেখা সেই চিঠির
প্রতি ভাঁজে ভাঁজে আমি
লুকিয়ে রেখেছি সকালবেলা
কুড়িয়ে আনা কিছু
সতেজ বকুল ফুল।
যাতে দীর্ঘদিন পরে
থাকলেও ঐ চিঠি
বকুলের সৌরভে সুরভিত থাকে।
কলমে- মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া