১৯ টি কোভিড রোগীর অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছে।
শুক্রবার রাতে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে, হাসপাতালের এক শীর্ষ কর্মকর্তা
হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর মো। শনিবার ডিডি বালুজা এনডিটিভিকে বলেন, “আমরা সরকারের কাছ থেকে ৩.৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন পেয়েছি। বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমাদের পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে এই অক্সিজেনটি প্রায় মধ্যরাতের দিকে এসেছিল। ততক্ষণে ২৫ জন রোগী মারা গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমপক্ষে ২১৫ জন কোভিড রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অক্সিজেনের গুরুতর প্রয়োজন রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিল্লি হাইকোর্টে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আপিল জানিয়েছে, “আমাদের হাসপাতালে আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে চলেছে।” আমরা ইতিমধ্যে 25 জনকে হারিয়েছি। অক্সিজেনের জন্য আমাদের দম ফুরিয়েছে। আমাদের ডাক্তাররা আপনার সামনে। দয়া করে জীবন বাঁচান ‘
এই হাসপাতালের আগে, দিল্লির মুলচাঁদ হাসপাতালের কর্তারা জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। একটি টুইট বার্তায় তারা এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপ-রাজ্যপাল অনিলের সাথে বৈজালের সহায়তা চান। জীবন সহায়তায় 130 টিরও বেশি কোভিড রোগী রয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই টুইটের এক ঘন্টা পরে হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর মধু হান্ডা বলেছিলেন যে হাসপাতালে অক্সিজেনের মাত্রা এমন একটি স্তরে পৌঁছেছে যা কেবল ৩০ মিনিট স্থায়ী হতে পারে। এ কারণেই তারা ভেঙে পড়েছে। কর্মকর্তারা পরে প্রতিক্রিয়া। তাঁর ধারণা আরও অনেক হাসপাতাল এই জাতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
ভারতে হাসপাতালগুলি প্রতিদিনের করোনভাইরাস সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি সামলাতে লড়াই করছে। গত তিন দিন ধরে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল অক্সিজেনের পাশাপাশি বিছানা এবং ওষুধ খেয়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে অনেক হাসপাতাল দিল্লি হাইকোর্টে যোগাযোগ করেছে।
আদালত হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। বিচারকরা ভিক্ষাবৃত্তি, ঋণ গ্রহণ বা চুরির অর্থ হলেও, নির্দেশকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছেন।