রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা অবৈধ সমাবেশ, গুরুতর আহত ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে বিএনপির নির্বাহী সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীকে আদালত হেফাজতে পাঠিয়েছে।
শনিবার (২৪ শে এপ্রিল) চার দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক বিলাল আল আজাদ নিপুনকে আদালতে হাজির করেন এবং কারাগারে থাকার জন্য বলেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ২১ শে এপ্রিল আসামিদের জেল থেকে হেফাজতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্তের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তকে কারাগারে রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
মামলার তদন্ত সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে যে নিপুন রায় কারাগারে গেছে। এর আগে ২১ শে এপ্রিল আদালত নিপুনারায়াসহ চারটি আলাদা মেয়েকে রিমান্ডে নিয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় চৌধুরী ও দলের নির্বাহী সদস্য, পুত্রবধু নিপুন রায়কে গাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, সাদা পোশাকযুক্ত আইন প্রয়োগকারী বাহিনী নিপুণ রায়কে ২৮ শে মার্চ রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল এই অভিযোগে। তখন থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন।