রাজধানীসহ সারা দেশে হৈ চৈ চলছে, করোনার মহামারীতে আইসিইউ বেডের জন্য, তালা ঝুলছে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে। যদিও এই দুটি বেডের আইসিইউ বিভাগের সরঞ্জামগুলি অলস, দক্ষ জনবলের অভাবে এটি বন্ধ রয়েছে। ১৪ লাখ ও বেশি জনসংখ্যার জেলাগুলিতে আইসিইউ সুবিধার অভাবে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থ রোগীরা এই জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ -৩ সাংসদ জাহিদ মালেকের নিজস্ব জেলা মানিকগঞ্জ হলেও আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল উদ্বোধনের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সিসিইউ এখনও তালাবন্ধ রয়েছে। ফলস্বরূপ, জেলার ১৪ লাখ সিসিইউ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রাজধানীতে আইসিইউ না পেয়ে মারা যাওয়া রোগী নিয়ে স্বজনরা মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে আসেন। তবে এখানকার আইসিইউ বিভাগ বন্ধ রয়েছে। তাই তাদের জীবন বাঁচাতে স্বজনরা ছুটে চলেছেন অন্যত্র আইসিইউতে। মানিকগঞ্জের আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ছাড়াও জেলার অন্য কোন সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা নেই। তবে জেলার একমাত্র আইসিইউ বিভাগ দিনের পর দিন তালাবদ্ধ। রোগীরা অভিযোগ করেছেন যে দুটি বিছানাযুক্ত সরঞ্জাম সাত বছর ধরে ভিতরে থাকা সত্ত্বেও এর সুবিধাগুলি মেলেনি।
জানা গেছে, গত বছর 100 শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর কর্তৃপক্ষ একটি নতুন আইসিইউ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এক বছরেও এর সমাধান হয়নি। যদিও কিছুদিন আগে সেন্ট্রাল অক্সিজেনকে করোনার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তবে আইসিইউ পরিষেবা না থাকার কারণে মারা যাওয়া রোগীরা এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যদিও এই দুটি বেডের আইসিইউ বিভাগটি ২০১৪ সালে শুরু করা হয়েছিল, দক্ষ জনবলের অভাবে কর্তৃপক্ষ আজও এটি শুরু করতে পারেনি। মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, আমরা আইসিইউ পরিচালনার জন্য দক্ষ জনশক্তির দাবি পাঠিয়েছি। করোনার বাড়ছে আবার আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ বলেছেন, আইসিইউ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা দক্ষ জনশক্তি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি। কোভিড আসার পরে এটিকে আবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।