লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহায়তার জন্য এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ অফিসার আবদুর রাজ্জাক প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তার ভাই এবং আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের উত্তর সিরেন্দুনা গ্রামের তামার চৌপথীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রাক্তন চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুরো ঘটনাটি প্রাক্তন চেয়ারম্যানের এক ধরণের নাটক।
ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন সিরেন্দুনা ইউনিয়নের উত্তর সিরন্দুনা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। যেহেতু আমি ward ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে আছি, আমি ভ্রমনী আদালতে পুলিশকে সাহায্য করি। এই ঘটনার ফলস্বরূপ, সাবেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন এবং তার ভাই মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন সন্ধ্যার আগে আমাকে তামর চৌপথী নামে একটি কোণে থামিয়ে আমার পুলিশ ইউনিফর্ম ছিড়ে এবং আমাকে মারধর করে। খবর পেয়ে অন্যান্য গ্রাম পুলিশ সহ কিছু লোক আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে সাবেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খতিব উদ্দিন বলেছেন, গ্রাম পুলিশকে মারধর করা হয়নি। একটি ছোট বিষয় সম্পর্কে শুধুমাত্র একটি সামান্য বিতর্ক হয়েছে। আমার এবং আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক ধরণের নাটক। এর আগেও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার হয়রানি করা হয়েছে।
সিরেন্দুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, গ্রাম পুলিশকে মারধর করা হয়েছে এবং তার পুলিশের ইউনিফর্ম ছিন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে গ্রাম পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। জেলা প্রশাসক আবু জাফর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, গ্রাম পুলিশ মারধরের অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধা ইউএনও সামিউল আমিন জানান, গ্রাম পুলিশকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য বলা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।