রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কগুলি করোনারি ঝুঁকি এড়াতে খালি থাকলেও গলি ও মোড়ে ভিড় কমছে না। দুপুরের পরে বাজারে মানুষের ভিড় বাড়ছে। শারীরিক দূরত্ব গ্রহণ না করে বসে বসে বা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১৮ টি হাট বাজার রয়েছে। গত চার দিনে ইকারচালী, বালাবাড়ি, মাঝেরহাট, ডাঙ্গিরহাট, কাশিয়াবাড়ী, বুড়িরহাট, কাজিরহাট সহ উপজেলার কমপক্ষে সাতটি গ্রাম পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মানুষ করোন ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন নয়। বাজারে মাছ, মাংস, কাঁচা শাকসবজি, হাঁস, গরু এবং ছাগল কেনার সময় ক্রেতাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব নেই অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। যুবকরা আশেপাশের কোণে দলে দলে ঝুলছে। তবে উপজেলা সদরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা গেছে।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তারাগঞ্জ হাটের কাঁচা বাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তারা পাশাপাশি শপিং করছে। বেশিরভাগ ক্রেতার মুখের মুখোশ নেই। বাজারে আসা ইকারছালী গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেছিলেন, আমি মুখোশ পরেও আমার দম বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছাড়াও হামরা একজন কৃষক, তিনি লাল রোডোট কাজ করেন ও খাচ্ছেন। হামারের করোনার কোনও সুযোগ নেই। শহরে এই রোগের প্রকোপ রয়েছে। হামারের কোনও গ্রাম নেই। ‘
লোকেরা সেই বাজারের পোল্ট্রি মার্কেটেও গুঞ্জন করছে। কেউ দর কষাকষি করছেন, কেউবা টাকা গুনছেন। কেউ কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন। অনেকেরই মুখোশ নেই। কারও মুখে মাস্ক থাকলে চিবুকের কাছে নামিয়ে দিন।
হাটে হাটে বাজারে আসা কুরশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেককেই চলা উচিত। তবে কেউ তা মানছে না। প্রত্যেকে যথারীতি চলাফেরা করছে। দেহের কাছাকাছি এসে তিনি হাঁস-মুরগি এবং শাকসব্জি কিনছেন।
দুপুর আড়াইটায় আমি মাংসের বাজারে গিয়ে দেখি দুই শতাধিক লোকের ভিড়। তারা একে অপরের সাথে মাংসের জন্য কেনাকাটা করছে। পলাশবাড়ী গ্রামের মকছুদার হোসেন মাংস কিনে বাড়ি ফিরছেন। তিনি বলেন, দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে না। মানুষও মারা যাচ্ছে। ডোকাক হাট বাজারে ভিড় আগের মতোই। আমি মাংস কিনতে মাংসের বাজারে ছুটে যাই। ‘
সাইদুর রহমান নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেছিলেন, ‘ভাইজান, করোনার শুরু হওয়ার সাথে সাথে মাংসের বাজারও ভিড় করেছিল। এলা এমন ভিড়। লোকেরা মুখোশ ছাড়াই মাংসের বাজারে আসছেন। কেনাকাটা করতে যাচ্ছি. হামরা মুখোশ পরে থাকলেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ‘
জানতে চাইলে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। কাউকে অযথা বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলে তাদের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।
ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এড়াতে ঘরে বসে থাকার বিকল্প নেই। এই রোগ প্রতিরোধে সবার সচেতন হওয়া উচিত। এর মধ্যে আমি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে ফোন করে ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য দোকান ছাড়া বাজারের সমস্ত দোকান বন্ধ করতে বলেছি। মাইকিংও করা হয়েছে। তারপরেও কেউ যদি ওষুধ ও প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্য কোনও দোকান খুলেন বা হাটবাজারের কোণায় ঝুলিয়ে রাখেন তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘