কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার (১২ এপ্রিল) উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কাউসার মজুমদার গ্রামের রবিউল হক মজুমদার ছেলে।
ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বাবা বলেছিলেন, “আমার মেয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরের টয়লেটে যায়।” এমন সময় কাউচার তার মুখটি ধরে তাকে নিয়ে গেলেন। আমার মেয়ে চিৎকার করলে সে তাকে গলা টিপে ধরে ধর্ষণ করে। তারপরেও আমার মেয়ে তর্ক শুরু করে। একপর্যায়ে সে তার নাকে আঘাত করে চিৎকার করে। আমরা দৌড়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি অসুস্থ মেয়েকে কাউসার মজুমদারের বাড়িতে নিয়ে গেলাম।” কিন্তু তার বিচারের পরিবর্তে তার পরিবার আমার মেয়ের কাপড় জল দিয়ে ধুয়েছিল এবং প্রমাণগুলি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। আমি তাদের থানায় যেতে বললে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এই মামাতো ভাই আগে আমার মেয়েকে বিরক্ত করছিল। আমি যখন তাকে সতর্ক করেছিলাম তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়েকে নষ্ট করে দেয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা ও বিবৃতি নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কাউসার মজুমদারকে গ্রেপ্তারের জন্য এখন আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।