বগুড়ার শেরপুরে সালিশ সভায় উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছিল। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দশ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শাজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে শেরপুর থানায় এ ঘটনা জানানো হয়। এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার গড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর বারিপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত সালিশি বৈঠকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মনছের আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৫), নাহিদ হাসান (২৫), জাকারিয়া (২৬), শিপন (২৭), রাশিদা বেগম (৪০) মাহীপুর বারিপাড়ার কামরুল ইসলাম ডিনার স্ত্রী। উপজেলার গারিদহ ইউনিয়নের অন্তর্গত গ্রাম। রাশেদ আহমেদ (১৭)। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ, স্থানীয় ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, কামরুল ইসলাম ও তার ছেলের মধ্যে করতোয়া নদীতে মাছ ধরার বিষয়ে ১৪ এপ্রিল দুপুরে পৌরসভার হাজীপুর এলাকার মনছির আলীর সাথে তর্ক হয়। পরে ঘটনাটি নিরসনে শনিবার সন্ধ্যায় মহিপুর বারিপাড়া গ্রামে একটি সালিশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকের শুরুতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে রক্তাক্ত সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দশ জন আহত হয়।
এদিকে, মহিপুরের বড়িপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম দিনার অভিযোগ করেছেন যে হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আট থেকে দশটি মোটরসাইকেলে সজ্জিত ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তিনি স্ত্রী, ছেলে ও তার লোকদের মারধর ও আহত করেছিলেন। এমনকি তারা শোবার ঘরে বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে এবং আলমারিগুলিতে রাখা গরু বিক্রি থেকে এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তবে প্রতিপক্ষ মনছের আলী দাবি করেছেন যে তাদেরকে সমঝোতার বিষয়ে কথা বলতে ডাকা হয়েছিল। তাদের পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়। বিশেষত তার ছেলে হেলাল উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঞ্জা বগুড়ার শাজিমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। হেলাল উদ্দিনের দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “উভয় পক্ষই এ বিষয়ে পারস্পরিক অভিযোগ দায়ের করেছে।” তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।