হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইন প্রয়োগকারী বাহিনী বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছিল। রবিবার বিকেলে পুলিশ শেষ পর্যন্ত হেফাজত নেতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালের শাপলা চত্তরের দাঙ্গায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন রয়েল রিসোর্টে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং রাতে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে তার বাড়িতে না গিয়ে মামুনুল হকের পাশের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়ামাদ্রাসায় যান। সেখানেই ছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদ্রাসায় নজর রাখছিল। কারণ হেফাজতের এই নেতা ফেসবুকে এই মাদ্রাসার একটি ঘরে সরাসরি বসে ছিলেন। যাইহোক, সর্বশেষ লাইভে এসে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবির পক্ষে স্ত্রীর কাছ থেকে সত্য গোপন করার সময় এসেছে বলে তিনি তাঁর দলের আলেমদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিলেন। পরে চাপের মুখে তিনি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটিও মুছে ফেলেন।
মাদ্রাসা ছাড়ার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। এই কারণে, তার পাশের নিজের বাড়ি থাকলেও তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন না। মামুনুলের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর রবিবার তক্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
দুপুর বারোটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুনুলকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ মামুনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩ সালের শাপলা চত্তরের দাঙ্গায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও মামুনুল হক ২০১৩ সালের একাধিক মামলার আসামি।