আমি তাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম। এরপর ও চলে যাওয়ার সাথে সাথে নামাজের সিজদায় কাঁদতে লাগলাম। সব কষ্টের কথা মহান রবকে জানালাম। এরই মাঝে আয়েশা চলে এসেছে। দরজা খুলে তাকে ভিতরে নিয়ে আসলাম। আয়ান আসার আগ পর্যন্ত আয়েশা আমার পাশেই ছিল সবসময়।
দেখতে দেখতে তিনদিন কেটে গেল। আয়ান চলে এলো অন্য আয়ান হয়ে, যেমনটা আমি চাচ্ছিলাম। এসেই জানালো এখন থেকে সে দাঁড়ি রাখবে। আমার যে কী খুশি লাগছিল! এরপর সে তিনদিন কীভাবে কাটালো সেসব বলতে লাগলো। ঐ জামায়েত ভাইয়েরা নাকি এত বিনয়ী ও আন্তরিক, তার খুব ভাল লেগেছে। আমার আপত্তি না থাকলে সে আরও একবার ওনাদের সাথে তাবলীগে যেতে চায়।
আমি জানালাম, আমার কোনো আপত্তি নেই। আর আয়েশা অনেক হেল্পফুল। সে চলে গেলে আমার এখন খুব একটা সমস্যা হবে না। এরপর সে ভাইদের সাথে যোগাযোগ করে জানালো নেক্সট মান্থে যাবে, ইন শা আল্লাহ্। আর নেক্সট মান্থের শেষের দিকে আমার ডেলিভারি টাইম। তার আগেই সে চলে আসবে।
আয়ানের দ্বিতীয়বার তাবলীগে যাওয়ার আগের সময়টা আমাদের স্বপ্নের মতো ভাল কেটেছে। এই সময়ে সে আগের থেকেও অনেক বেশি কেয়ারিং ছিল আমার প্রতি। আবারও তার তাবলীগে যাওয়ার সময় চলে এলো। এবার সে নরমাল ছিল। আমরা দু’জনই রাতে ঘুমিয়েছি।
হঠাৎ আমি চোখ মেলে দেখি, সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার সিক্স সেন্স খুবই স্ট্রং, আলহামদুলিল্লাহ। আমি যতই গভীর ঘুমে তলিয়ে যাই, ঘুমন্ত আমার পাশে এসে কেউ দাঁড়ালে অথবা শুধু চেয়ে থাকলেই আমি বুঝতে পারি। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এবারও তাই হলো।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “না ঘুমিয়ে কী দেখছো এমন করে?”
“তোমাকেই। ঘুমিয়েছিলাম তো, কিন্তু ঘুমের মাঝেই মনে হলো আর কয়েক ঘন্টা পর আমরা আলাদা হয়ে যাব। ভাবতেই কেমন যেন লাগলো! আর তোমার দিকে তাকিয়ে মনে হলো এরমভাবে আর কখনও দেখার সুযোগ তো নাও পেতে পারি।
[চলবে]
Writer: Mahazabin Sharmin Priya