মুখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশটি হ’ল ঠোঁট। ঠোঁটের ত্বকে তেল গ্রন্থির অভাবের কারণে আমাদের ঠোঁট অজান্তে শুকিয়ে যায়। শুধু শীতকালেই নয়, গ্রীষ্মেও অনেকের ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে। নারী এবং পুরুষ ঠোঁট ফেটে বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক এবং তৈলাক্ত ত্বকের লোকেরাও ঠোঁট ফাটিয়ে থাকেন। অনেকের ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ে। ঠোঁট যাতে শুষ্ক না হয় সেদিকে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মধু
মধু এমন একটি উপাদান যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। মধুতে ময়েশ্চারাইজার থাকে। এটি ব্যাকটিরিয়া শোষণ করে। ফলস্বরূপ, এটি জীবাণু থেকে বাঁচিয়ে রাখা যেতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে কিছুটা মধু লাগানোর অনেক সুবিধা রয়েছে। এইভাবে, আপনি যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠোঁটে মধু প্রয়োগ করেন এবং ঘুমাতে যান তবে আপনি আপনার চোখের ঠিক সামনেই ঠোঁটের রঙের পার্থক্য লক্ষ্য করবেন।
লেবুর রস
লেবুর রস ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে একটি ভাল প্রতিষেধক। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে অল্প লেবুর রস ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই ঠোঁটের রঙ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
চিনি
অনেকে ঠোঁটের কালো চেনাশোনাগুলি মুছে ফেলার জন্য চিনি ব্যবহার করেন। চিনি মৃত ঠোঁটের কোষগুলি অপসারণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। 3 চা-চামচ চিনি এবং 2 চা-চামচ মাখন একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে কালো দাগ বা অন্যান্য দাগ দূর হয়। এইভাবে অন্ধকার অনুভূতি চলে যায় এবং ঠোঁটে একটি স্বাভাবিক গোলাপী আভা আসে।
দুধের সর
ঠোঁটের গোলাপি রঙ ধরে রাখতে দুধের ক্রিম ব্যবহারের রীতিটি বেশ পুরানো। যদি আপনার ঠোঁটেও কালো দাগ থাকে তবে আপনি প্রাচীন পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন। দুধের ক্রিমের সাথে হালকা মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে আরও অনেক আরাম পাওয়া যায়।
বরফ
যে কোনও দাগে বরফ মাখলে তা হালকা হয়। ঠোঁটে যদি কোনও দাগ বা গা কালোভাব থাকে তবে বরফটি ঘষুন। বরফ ঠোঁটের কালোভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
নারকেল তেল
নারকেল তেল ত্বককে নরম রাখে। অনেকে বিশেষ করে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে এই তেল ব্যবহার করেন। ঠোঁটে নিয়মিত নারকেল তেল মালিশ করলে ঠোঁট বা গা দাগ দূর হয়।