“তাও তোমাক কিছু খায়া যাওয়াই নাগবে, মায়ো। মুই তোমাক খালি মুখে যাবার দিবার নেও।” বলেই খালা উঠতে যাচ্ছিল।
আমি তাকে আশ্বস্ত করে বললাম, “আচ্ছা পরে না হয় খাবো। কিন্তু আপনি বাইরে থেকে কিছু আনাবেন না, খালা। তাহলে কিন্তু আমি কিছুই খাবো না। আর আমি তো গল্প করতে এসেছি। এখন খেতে থাকলে গল্প করার সময় ই তো পাব না।”
খালা আমার কথা শুনে গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করলো। আমার খুব ভাল লাগছিল। তখনই আয়েশা এক গ্লাস ভর্তি ডাবের পানি নিয়ে এলো। আমি ওদের একটু খেতে বললাম। কিন্তু কেউই খেল না। আমি তৃপ্তিসহকারে খেয়ে নিলাম। তারপর বললাম, “আয়েশা, তুমি তো ঠিকই বলেছো। আসলেই খুব মিষ্টি।”
আয়েশা স্মিত হাসলো। খালা আমাদের গল্প করতে বলে চলে গেলেন। আমি আয়েশা প্রথমে খালার ব্যাপারটা বললাম। গরমের মধ্যে এত কষ্ট করে বোরখা তার উপর মোজা পড়া, এগুলোর দরকার কী? শুধু মাথায় কাপড় দিলেই তো হয়।
এরপর আয়েশা যা বললো, তাতে বুঝলাম ইসলাম সম্পর্কে আমার নূন্যতম জ্ঞানও নেই। মুসলিম পরিবারে জন্মেছি জন্য, নামধারী মুসলিম ট্যাগটা লাগাতে পারি।
.
আয়েশা যতই কথা বলছে, আমার কৌতূহল ততই বাড়ছে। আমি তাকে ইসলামের একদম গোঁড়া থেকে বলতে বললাম। সে আস্তে আস্তে আমাকে বোঝাতে থাকলো। এরই মাঝে আসরের আজান দিতে শুরু করলো। সে আমাকে আজানের উত্তর দিতে বললো।
আমি পড়লাম বিপাকে। তাকে বললাম, আজানে কী প্রশ্ন করা হয় আর যারা শোনে তাদের উত্তর দিতে হয়? সে আমাকে বললো, “আপু, এই বিষয়ে পরে বলি, কেমন? আপাতত আমি যা যা বলি আপনিও তাই বলুন।” আমি বাধ্য মেয়ের মতো ওর কথা শুনে শুনে বলতে লাগলাম।
আজান শেষ হলে আয়েশা আমাকে অনুরোধের সুরে বলে শরীর পবিত্র থাকলে আমি যেন তার সাথে নামাজ পড়ি। আমি ওর সাথে নামাজ পড়তে চাইলাম। ও খুব খুশি হয়ে আমাকে একটি বোরখা আর বড় ওড়না দিল। আমি ওগুলো পড়ে নিলাম।
[চলবে]
Writer: Mahazabin Sharmin Priya