করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে অধিক মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন যারা ধীরে হাঁটেন তারা । তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় এমনটা দাবি করা হয়েছে।স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে যারা হাঁটেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি অন্তত চার গুণ বেশি আর এট গবেষণায় দেখা গেছে, । গবেষণায় এই তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি এক প্রতিবেদনে ।
লিচেস্টারভিত্তিতে বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের করা এই গবেষণায় এ দাবি করা হয় যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ রিসার্চ (এনএইচআর) । দ্বৈনন্দিন হাঁটাচলার তথ্য সংগ্রহ করা হয় গবেষণায় অন্তত ৪ লাখ মধ্যবয়েসি মানুষের । তবে গবেষণাটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকির সঙ্গে ওজনাধিক্য ও স্থূলতা নিরূপণের পদ্ধতি–বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই)-এর যোগসূত্র অনুসন্ধানের জন্য করা হয়েছিল।
তবে প্রধান গবেষক অধ্যাপক টম ইয়েটস এ সম্পর্ক আর বলেন, কেউ বেশি ঝুঁকিতে কি-না তা পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য হাঁটার গতির তথ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকি বেশি স্থূলতা ও দুর্বলতা থাকলে আমরা ইতিমধ্যে এটা জানি পেরেছি। আর এই গবেষণাটি প্রথম -দেখা গেছে, যারা ধীরে হাঁটেন তাদের ওজন যতই কম বা বেশি হোক না কেন, তারা দ্রুতগামীদের তুলনায় বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে বাড়তে থাকে ।
তবে যারা সমীক্ষায় প্রতি ঘণ্টায় ৪ মাইলের (৪ .৮ কিলোমিটার) কম গতিতে হাঁটেন তারা আস্তে হাঁটেন বলে চিহ্নিত করা হয় । আর স্বাভাবিক হাঁটার গতি ধরা হয়েছে ঘণ্টায় তিন থেকে চার মাইল (৬.৮ কিলোমিটার)। আর যদি ঘণ্টায় চার মাইলের বেশি গতিতে যারা হাঁটেন তাদের দ্রুতগামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা ধীরে হাঁটেন তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চারগুণ বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে থাকেন তাদের। এছাড়া দ্রুতগামীদের তুলনায় তাদের সংক্রমিত হওয়ার হারও আড়াই গুণ বেশি বলে দাবি করেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ রিসার্চ ।আর গবেষণার ফলাফল ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অবেসিটি নামক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকিতে প্রকাশ হয়েছে।
Reporter: Farjana akter