শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে কিছু সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হলো, তবে মনে রাখবেন যে প্রতিটি শিশু অন্যতম। তাই আপনার শিশুর প্রোফাইল, বয়স, ওজন, শারীরিক সম্পদ এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা উপেক্ষা না করে তাদের পছন্দ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য গুলি নির্বাচন করা উচিত।
শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্য তৈরির জন্য নিম্নলিখিত টিপস মেনে চলা উচিত:
১. বিভিন্ন খাদ্য সমূহ প্রদান করুন: প্রতিদিন বিভিন্ন খাদ্য সমূহ প্রদান করা উচিত, যেমন ফল, সবজি, গরুর/মুরগির মাংস, মাছ, দুধ, ডাহি ইত্যাদি। এটি সিদ্ধান্ত নিতে আপনার স্বাস্থ্য কে ভালো করবে এবং মানসিক ও শারীরিক উন্নতি করবে।
২. প্রোটিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন: প্রোটিন শিশুর ভালো উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মাংস, মুরগি, মাছ, ডাল, ছানা, সোয়াবিন ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।
৩. কার্বোহাইড্রেট প্রাপ্তি: শিশুদের শক্তির জন্য কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন। চাল, পুটি, রুটি, পাস্তা, স্ন্যাকস ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস।
৪. ফল ও সবজির গুনাগুন প্রদান করুন: ফল ও সবজি শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যমে পুষ্টি প্রাপ্তি হয় এবং অস্থিতির পূর্ণতা থাকে।
৫. খাদ্যের প্রয়োজনীয় পুষ্টি তথ্য জানুন: শিশুদের বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টি জানা উচিত। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শিশুর খাবার সমূহ নিশ্চিত করা উচিত।
৬. পর্যাপ্ত পানি পান করান: শিশুদের পর্যাপ্ত পানি পান করানো উচিত। পানিতে ক্ষতিকারক পদার্থ যেমন শর্করা, রং যুক্ত পানি থাকা উচিত নয়। শুধুমাত্র শুদ্ধ পানি প্রদান করুন।
৭. স্ন্যাকস কম করুন: শিশুদের কম মাত্রায় স্ন্যাকস খাবার দিন। বেস্ট প্র্যাকটিস হলো পুরানোকালের খাবার কেনার চেষ্টা করা।
শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরিকল্পনা, প্রাকটিসিং স্বাস্থ্যপরিকল্পনা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে একটি প্রফেশনালের সাথে পরামর্শ নিতে পারেন।
শিশুদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে নিচের কিছু টিপসও মাধ্যমে আরও সাহায্য পাওয়া যায়:
৮. নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পরিবর্তন করুন: শিশুদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে নির্ধারিত সময়ে পরিবর্তন করা উচিত। এটি তাদের পর্যাপ্ত পুষ্টি ও পুরানোকালের পদার্থ প্রদান করবে।
৯. খাদ্যের রঙমুক্ত করুন: রঙমুক্ত খাদ্য শিশুর জন্য ভালো। স্বাস্থ্যকর খাবারে সর্বোচ্চ সংখ্যক রঙ এবং প্রস্তুতিকে উপস্থাপন করানো উচিত।
১০. নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় পুষ্টি তথ্য জানুন: বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পরিমাপ জানা উচিত। আপনার শিশুর বয়স ও লম্বা-ওজনের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি তথ্য সম্পর্কে জানুন।
১১. অতিরিক্ত প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য পরিহার করুন: সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর হতে চাইলে শিশুদের অতিরিক্ত প্রক্রিয়াবদ্ধ খাদ্য থেকে দূরে থাকানো উচিত। যেমন, প্যাকেটেড স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিংকস, কনফেকশনারি আইসক্রিম ইত্যাদি।
১২. শিশুদের সঙ্গে খাদ্য পরিবেশন করুন: শিশুদের কাছে খাদ্য পরিবেশন করার সময় তাদের রুচি এবং আকর্ষণ বেড়ে তুলতে পারে। বিভিন্ন রঙ, আকার এবং স্বাদের খাদ্য পরিবেশন দিয়ে শিশুদের খাদ্যাভ্যাস আরো সুন্দর করা যায়।
শিশুর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরির জন্য মাস্টারিং প্ল্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি অংশগ্রহণকারী সবকটি অংশ উল্লেখ করে শিশুর উপস্থিতিতে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশন করার জন্য সহায়তা করতে পারে।