সব সহজে গ্যাস্ট্রিক দুর করা পদ্ধতি আজ আপনাদের জানাবো । এই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি এ যেন এক আতঙ্কের নাম । তবে এ গ্যাস্ট্রিক যেন এখন সকল মানুষের নিত্য সঙ্গী। তবে মূলত খাবারের বদহজমে কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে সকলের । তার ফলে বিভিন্ন রোগ শরীলে বাসা বাধে যে ডায়রিয়া, বমি ও পেটে ব্যথা হতে পারে । । তবে গ্যাস্ট্রিক কারণে এমনকি জ্বর, শক্তির অভাব এবং পানিশূন্যতা ঘটতে পারে ।
তবে পৃথিবীতে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভালো করার অসংখ্য ওষুধ রয়েছে যে গুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি দুর হতে পারে । এ রোগটি খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি ঘরোয়া কিছু উপায় । তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি নির্মূল করা যাবে ।
বেশি করে দারুচিনির ব্যবহার করা:
বিশেষভাবে কার্যকরী দারুচিনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে। তবে দারুচিনি অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথা এবং পেটের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে তাৎক্ষণিকভাবেই কাজ করে থাকে ।
ব্যবহার বিধি :
তবে কফি, ওটমিল কিংবা গরম দুধে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন, খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন। আর যদি দুধে সমস্যা থাকে তাহলে দুধ খাবেন না।
আপনারা চাইলে পানিতে দারুচিনি গুঁড়ো ফুটিয়ে ছেঁকে মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করতে পারেন। এতেও সমস্যার উপশম অনেক খানি হবে ।
আপনারা বেকিং সোডার ব্যবহার গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি দুর করতে পারেন:
তবে বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্যাস দূর করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে কাজ করে।
ব্যবহার বিধি :
১ গ্লাস পানিতে ভালো করে গুলে নিন ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা । তবে এ মিশ্রণটি পেটে সমস্যা অনুভূত হওয়ার সময়ে পান করে নিন। আর এতে দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
চাইলে আদার ব্যবহার করতে পারেন :
বিশেষভাবে কার্যকরী আদা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করতে । তবে আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা উপশমে বিশেষভাবে কাজ করে।
ব্যবহার বিধি :
তবে ২ কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ আদা কুচি একটু ছেঁচে দিয়ে ফুটাতে থাকুন। আর পানি শুকিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে এতে ১-২ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন, বেশ ভালো ও দ্রুত ফল পাবেন। আর চাইলে শুধু আদা লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। এতেও অনেক উপকার হবে।