চলুন জানা যাক, কি ভাবে ১২ কেজি ওজন কমালেন পিয়া ? অভিনেত্রী জান্নাতুল পিয়া গত ৭ ফেব্রুয়ারি মা হয়েছেন । তবে মা হওয়ার এক মাসের মধ্যেই জান্নাতুল পিয়া কমিয়েছিলেন ১২ কেজি ওজন। তাঁর ছবি দেখে অনেকেই খানিকটা অবাকও হয়েছিলেন বটে সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । জান্নাতুল পিয়া বলছিলেন যে, মা হওয়ার পর এত দ্রুত ওজন কমানোর গল্পটা তবে খুব কঠিন নয়।এই অল্প সময়ের মধ্যেই তার স্বাভাবিক ওজনে ফিরে যেতে পারবেন একটু নিয়ম মেনে চললেই যেকোনো নতুন মা-ই। তার জন্য দরকার নিজের উৎসাহ, একাগ্র চেষ্টা এবং মনোবল না হারানো।
ওজন কমানোর ব্যাপারটির সঙ্গে শুধু সৌন্দর্য নয়, সুস্থতার ব্যাপারও গভীরভাবে জড়িত পিয়া মনে করেন। তবে অনেক মেয়েই নতুন মা হওয়ার পর এই অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিষন্নতায় ভোগেন।তারা ভাবেন, হয়তো কখনো আর আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।খুব সহজেই আগের ওজনে ফিরে আসা সম্ভব তবে যদি সাধারণ কিছু জিনিস মানে মা -ই যেমনটি করেছেন পিয়া। তিনি এই সময়টায় ছেলে এরিসকে নিয়মিত বুকের দুধ পান করাচ্ছেন। আর পাশাপাশি নিজের পুষ্টিকর খাবারদাবারের প্রতিও বিশেষ খেয়াল ছিল পিয়ার।
১। ছেলেকে স্তন্যপান করান পিয়া জন্মের পর থেকেই ।তাঁর ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার এটা একটা অন্যতম কারণ তিনি মনে করেন ।
২। সন্তান পর্যাপ্ত খাবার পাবে না বলে এক ধরনের ভ্রান্ত ধারণা আছে আমাদের সমাজে.ও স্তন্যপান করানোর সময় মা যদি বেশি খাবার না খান, তবে । তাই বাচ্চা হওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার খেয়ে মুটিয়ে যান মায়েরা। তবে অতিরিক্ত খাবার নয়, এই সময় মায়ের খেতে হবে পরিমাণমতো পুষ্টিকর খাবার। তাই মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান, তবে তাঁর সন্তানও পর্যাপ্ত খাবার পাবে।পুষ্টিকর খাবারের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে তাই ছেলের জন্মের পর থেকে পিয়া খেয়ে ছিল। তার তালিকায় প্রতিদিন থাকে এক গ্লাস দুধ, যেটা নতুন মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাবার। লাউ আর কালোজিরা খেয়ে থাকেন পিয়া পাশাপাশি প্রতিদিন ।
৩। নতুন মাকে বিভিন্ন রকম ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খেতে দেওয়া হয় সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মা তা অবহেলা করেন। এই কারণে পরবর্তী সময়ে মায়েদের চুল ও ত্বকে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। তবে মা হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন নিয়মিত খাচ্ছেন জান্নাতুল পিয়া।তাই ত্বক ও চুল স্বাভাবিকতা হারায়নি বলে মনে করেন তিনি।
৪। শরীরচর্চা শুরু করেন তিনি এরিসের জন্মের দেড় মাস পর থেকে । পিয়া বললেন যে খুব ভারী নয়, হালকা কিছু ব্যায়ামই তাঁকে ফিট রাখতে সাহায্য করেছে।যাঁর যাঁর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত তবে এই ব্যায়াম অবশ্যই ।
৫। পেটে বেল্ট বাঁধতে শুরু করেন তিনি অস্ত্রোপচারের পরদিন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী । তাই পেটের ত্বক ঝুলে যাওয়ার যে সমস্যা দেখা দেয়, তা নিজের ক্ষেত্রে হয়নি বলে জানালেন পিয়া।
৬। তবে মা হওয়ার আগে থেকেই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ইউটিউব দেখে শরীরচর্চা করতেন জান্নাতুল পিয়া।
প্রসব-পরবর্তী বিষন্নতায় ভোগেন অনেকে এ ছাড়া মা হওয়ার পরপরই । আর এটা তাঁদের জন্য খুব সাধারণ একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। নিজে থেকেই মাকে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে এই সময় অন্য কারও সাহায্যের জন্য অপেক্ষা না করে , এমনটাই বললেন জান্নাতুল পিয়া।
এই সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই ভালো থাকাটা ।তবে তার প্রভাব অবশ্যই চেহারায় পড়তে বাধ্য নিজের মন যদি ভালো থাকে।