উত্তম কিছু দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করুন,আমরা কি এমন করতাম? ইবনে সিনাতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। চেম্বারের সামনে অপেক্ষা করছি, তখনই শুনলাম চিৎকারটা। তাকিয়ে দেখলাম, একজন ক্লিনার একজন ভদ্রলোককে ধমকিয়ে বলছে,
❝টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় জুতাটা একটু ঝাড়া দিয়ে আসবেন না! এই মাত্র পুরো ফ্লোর পরিস্কার করলাম। আপনার জুতার কাদায় আবার ময়লা হয়ে গেলো❞
উত্তম কিছু দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করুন,আমরা কি এমন করতাম?
উত্তম কিছু দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করুন,আমরা কি এমন করতাম? আজকাল বড় ছোট, ধনী গরিবের লেহাজ কয়জন করে। তার উপর একজন ক্লিনার ধমকাচ্ছে একজন সুটেড বুটেড ভদ্রলোককে। মনে মনে ভাবলাম, নিশ্চয়ই এখন একটা কাহিনী হবে।
কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, ভদ্রলোক একটুও রাগ হলেন না। উল্টো ক্লিনারের ঘাড়ে হাত দিয়ে বললেন, স্যরি ভাই। ভুল হয়ে গিয়েছে। খেয়াল করতে পারি নাই। ক্লিনার নিজেও প্রস্তুত ছিল না এরকম ব্যবহারের। থতমত খেয়ে বললো, না স্যার সমস্যা নাই। এটা তো আমার ডিউটি।
সামান্য একটু ভাল ব্যবহার
সামান্য একটু ভাল ব্যবহার, ডিউটিই যদি হয়, আগে তাহলে কেন চেঁচাল? আর স্যার সম্বোধন! একটু আগেও তো ছিল না। খারাপ ব্যবহার দিয়ে যা কখনই আদায় করা যেত না, ভদ্রলোক সেই সম্মানটুকু সামান্য একটু ভাল ব্যবহার দিয়েই আদায় করে নিলেন। সুরা হা-মিম সিজদাহতে (৪১ নং সূরা) ৩৪ নং আয়াতে আছে, যার সারমর্ম মোটামুটি এরকম,
❝উত্তম কিছু দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করুন। দেখবেন,আপনার সাথে যার শত্রুতা রয়েছে, সেও হয়ে যাবে যেন আপনার অন্তরঙ্গ বন্ধু❞
আয়াতটা এর আগে অনেকবারই তিলাওয়াত হয়েছে। কিন্তু কখনো বুঝি নি, এর উপর যখন আমল হবে দৃশ্যটা কত সুন্দর হবে! ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
লেখাঃ মুহতারাম ভাই Rizwanul Kabir হাফিযাহুল্লাহ