দুটি তালগাছে থাকা বাবুই পাখির বাসা উচ্ছেদ করেছেন কয়েকজন কৃষক পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় খেতের বোরো ধান খাওয়ায় । তবে শতাধিক পাখির ছানা মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় । তবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভবানীপুর উপজেলার ও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে যে , ভবানীপুর গ্রামে বোরো ধান চাষ করছেন স্থানীয় হেমায়েত হোসেন মোল্লাসহ কয়েকজন কৃষক।আর কয়েক দিন ধরে একঝাঁক বাবুই পাখি জমির ধান খেয়ে ফেলছে। আর জমির পাশেই দুটি তালগাছে রয়েছে বাবুই পাখির বাসা। কৃষক হেমায়েত হোসেন মোল্লা ও তাঁর ভাই লুৎফর রহমান মোল্লা পাখিতে ধান খাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন।দুটি তালগাছে থাকা বাবুই পাখির বাসাগুলো ভেঙে ফেলে শনিবার সন্ধ্যায় লুৎফর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকজন কৃষক। বাবুই পাখির ছোট ছানা এ সময় বেশির ভাগ বাসায় ছিল । আর বাঁশ দিয়ে বাসা ভেঙে মাটিতে ফেলে দেওয়ার পর কিছু বাসা পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। তাই এতে বাসায় থাকা বেশির ভাগ ছানা মারা যায়।
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খবর পেয়ে আজ রোববার সকালে ।তবে এ সময় সেখানে কিছু বাসায় জীবিত কয়েকটি পাখির ছানা দেখতে পেয়ে ছানাসহ বাসাগুলো তালগাছে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেন তিনি।
শতাধিক বাবুই পাখির ছানা বাসায় ছিল স্থানীয় সাংবাদিক মারুফুল আজিজ বলেন।একেবারেই ছোট ছানাগুলোর প্রায় সবই । এখনো জীবিত আছে মাটিতে থাকা কয়েকটি ছানা । তবে জীবিত ছানার কাছে গেলে খাবারের জন্য মুখ হা করে ছানার ।
৫০ বিঘা জমিতে তাঁরা তিন ভাই বোরো ধান চাষ করেছেন লুৎফর রহমান মোল্লার বড় ভাই হেমায়েত হোসেন মোল্লা বলেন। বাবুই পাখিতে গুলো ২৫ ভাগেরও বেশি জমির ধান ইতিমধ্যে নষ্ট করে ফেলেছে তাদের। তাই তাঁর ছোট ভাই লুৎফর মোল্লা ও দুজন শ্রমিক কিছু পাখির বাসা ভেঙেছেন এমনটা বলে তারা। তবে তাঁরা কোনো পাখি মারেননি।
বাবুই পাখি এখন বিলুপ্তপ্রায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হরিস চন্দ্র বোস বলেন। তিনি আর বলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এটি রক্ষা করা সবার কর্তব্য।আর এদের হত্যা করা একটি অমানবিক কাজ।
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, যে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিত ছানাগুলোর বাসা তালগাছের সঙ্গে বেঁধে প্রতিস্থাপন করেছেন।আর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ।