“নিয়তি” পর্ব-৭

আমি আমাদের নবাগত সন্তানের কথা বললাম। এখন এত জার্নি করলে প্রবলেম হতে পারে সে কথাও জানালাম। এটা অবশ্য মিথ্যে কথা নয়। আসলেই প্রবলেম হতে পারে। সে তার কাজিনকে দেখেছে। বেশি জার্নি করায় তার মিসক্যারেজ হয়েছিল।

এরপর আর কিছু বলতে হয়নি। সে আমাকে নিয়ে খুব সিরিয়াস। আমি এইবার প্রথম প্রেগন্যান্ট। এরম কিছু হলে আমার চেয়ে সে ই বেশি ভেঙ্গে পড়বে। তবে আমার কথা বলার ধরণ দেখে সে কিছুটা বুঝেছে কি না জানি না। তবে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমার আজ কোনো বিশেষ কাজ আছে কি-না।

আমি অবশ্য বলে দিয়েছি যে, আমি খালার বাসায় যাবো। বেশি দূর না। হেঁটেই যাওয়া যায়। মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ। এজন্যই হয়তো সে কিছু বললো না।

তবে ব্রেকফাস্ট শেষ করেই আয়ান আমাকে বললো আমার সাথে নাকি মাছ ধরবে। কে কয়টা মাছ ধরতে পারে সেই প্রতিযোগিতা হবে। আমি তো হেসেই খুন। আবার মজাও পাচ্ছিলাম। কেননা, আমার শখগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শখ হচ্ছে মাছ ধরা। আমি সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম।
এরপর সে আমার বাবাকে বলে দু’টি বড়শি আর মাছ ধরার টোপ নিয়ে এলো। আমরা মাছ ধরার জন্য রওনা হলাম।

.
আমাদের বাসার পাশেই একটা ফলের বাগান আছে। তার মাঝখানে একটি বিশাল পুকুর। পুকুরটির চারদিকে ঘাস লাগানো। আর পুকুরের পুবের দিকটায় শান বাঁধানো সিঁড়ি। পশ্চিমে সবজির বাগান লাগিয়েছে আমার মা। এছাড়াও পুকুরপাড়ের বেশ কিছু জায়গায় বসার মতো সুন্দর ব্যবস্থা আছে। এই জায়গাটি শৈশবকাল থেকেই আমার বেশ পছন্দের।

নিরিবিলি এই পরিবেশে বসে আয়েশ করে চা খাবার জন্যও টি টেবিল এর ব্যবস্থা আছে। কিছু দূরে দূরে ছয়টি টি টেবিল। একটি টি টেবিলের সাথে চারটি চেয়ার লাগানো এবং মাথার উপরে বড় একটি ছাতা।

টেবিল আর চেয়ারগুলো পাথরে বাধাই করা আর ছাতা ছয়টি খড়ের তৈরি। বৃষ্টির দিনে, খড়ের ছাতাগুলোর উপর প্লাস্টিকের ভারী পলিথিন মুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছাতাটি অনেক বড় জন্য বৃষ্টির পানিতে শরীর ভিজে যায় না। আর গরমকালের জন্য তো যুতসই জায়গা এটি।
[চলবে]

Writer: Mahazabin Sharmin Priya

Leave a Comment