মুরতাদদের পরিত্যাগের হুকুম
❝ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর এবং প্রজ্ঞা ও প্রেরণার সাথে উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করার পর ( এতেও কাজ না হলে ) প্রত্যেক বিদাআতি এবং আমাদের দ্বীনকে ঠাট্টার মাধ্যমে রিদ্দা করা প্রতিটি ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আমাদের হুকুম করা হয়েছে।
আমাদের হুকুম করা হয়েছে তাদের থেকে নিজেদের মুক্ত করতে। তার মিত্র হওয়া হারাম। তাকে বয়কট করতে হবে এবং তার আনুগত্য পরিহার করতে হবে এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
এই সবকিছু করতে হবে, তাকে উপদেশ দেওয়ার পর এবং সে যা করেছে,সবকিছু তার নিকট ব্যাখ্যা করার পরে,এমনকি তাকে উদারভাবে উপহার দেওয়ার পরে।
তারপরেও সে যদি অটল থাকে, তাহলে উপরিউক্ত বিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
দুই ধরণের মানুষ অসহনীয়ঃ-
প্রথমতঃ যে রিদ্দা করেছে।
আবুজর আল গিফারি মুআয ইবনে জাবালকে সাহায্য করতে ইয়েমেনে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় বন্দী দেখতে পান। তিনি মুআযকে জিজ্ঞাসা করেন তার কী হয়েছে। মুআয জবাব দেন,
সে রিদ্দা করেছে।
আবুজর সঙ্গে সঙ্গে তার মাথা কুপিয়ে কেটে ফেলেন।
আল্লাহ তাঁদের সবার প্রতি সন্তুষ্ট হন।
দ্বিতীয়তঃ সমকামীরা।
আবু বকর আস সিদ্দীক সমকামীদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন। আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হন।
এছাড়া যেসকল নির্ধারিত শাস্তির হুকুম আল্লাহ দিয়েছেন ( সাহাবীদের বর্ণনায় উল্লিখিত ) সেগুলো কেবল শাসনকারী বিচারক প্রয়োগ করবেন। ❞
– শায়খ মুসা আবদুল্লাহ জিবরিল حفظه الله