খালা যেভাবে পর্দা মেইনটেইন করে এগুলো তার মেয়ের থেকে শিখেছেন। তার মেয়ে নাকি ঢাকায় কোন ভার্সিটিতে পড়ে। ইসলাম সম্পর্কে উনি আমাকে যা জানালেন ওনার মেয়ে নাকি আরও বেশি জানেন।
খালার কথা শুনে উনার মেয়েকে দেখার এবং তার কথা শোনার কৌতূহল বেড়ে গেল। আমি মনে মনে স্থির করলাম, কাল দুপুরে খাবার পর সবাই যখন ঘুমোবে, আমি ঘুমাবো না। খালার সাথে তার বাসায় গিয়ে তার মেয়ের সাথে দেখা করব। সে এতকিছু কীভাবে শিখেছে আর কী কী জানে সব শুনে নিব।
এই পরিকল্পনা আগেই খালাকে বললাম না। কাল যখন খালা তার বাসায় যাবার জন্য তৈরি হবে, আমি সেই মুহূর্তে বলবো আমি তার সাথে যেতে চাই। নিশ্চয়ই খালা না বলবেন না আমাকে, বরং খুশিই হবে। এসব ভাবনার ছেদ ঘটালো আমার মা।
মা এসে খালাকে বললো রাত বেশী হয়ে যাচ্ছে আর যেন দেরি না করে। বাকী কাজগুলো মা নিজে করে ফেলবে। এই বলে খালার হাতে রাতের খাবার দিয়ে গেল। খালা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন।
.
পরদিন সকালে আয়ান জানালো ব্রেকফাস্ট করে আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে। সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করবে। রাতের খাবারটাও বাইরে খেয়ে তারপর বাসায় এসে রিলাক্সে ঘুমাবে। অন্যদিন হলে আমি খুশিতে লাফাতে শুরু করতাম। আজ তেমন খুশি হলাম না। কারণ আমি আজ খালার বাসায় যাবোই যাবো।
আমি ভনিতা করতে পারি না। তাই ওকে সরাসরি বললাম দুপুরের আগে যদি ফিরে আসো তাহলে আজ যাবো। তা না হলে পরশুদিন। পরশুদিন সারাদিন কেন সারারাতও যদি ঘুরতে বলো তবুও আমি রাজি।
কিন্তু সে আজই যেতে চায়। পড়লাম তো মহা ঝামেলায়! কি করা যায় বুঝতে পারছিলাম না। তখন এক দুষ্ট বুদ্ধি মাথায় চাপলো।
[চলবে]
Writer: Mahazabin Sharmin Priya