একজন মুমিনের আশা..
মুমিন বান্দার আশা ও আকাঙ্ক্ষায় তিনটি বিষয়ের মিশ্র অনুভূতি থাকবে।
১. কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের প্রতি তার আন্তরিক ভালোবাসা ও হৃদ্যতা থাকবে।
২. কাঙ্ক্ষিত বিষয় হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার একটি গোপন আশঙ্কা কাজ করবে তার অন্তরে।
৩. কাঙ্ক্ষিত বিষয় অর্জনের জন্য সাধ্যের সবটুকু দিয়ে সে তার চেষ্টা- মেহনত অবিরাম চালিয়ে যাবে।
মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষায় যদি উল্লিখিত তিনটি অনুভূতির কোনো একটি অনুপস্থিত থাকে তাহলে সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা নিরেট কল্পবিলাসে পরিণত হয়। আশাবাদী প্রত্যেক ব্যক্তিই শঙ্কিত থাকে। আর মানুষের পথচলা যখন শঙ্কাময় হয় তখন সে সতর্কতা অবলম্বন করে কাঙ্ক্ষিত বস্তু হারিয়ে যাওয়ার উৎকণ্ঠায় দ্রুত গতিতে পথ চলতে থাকে।
আল্লাহ বলেন, “ নিশ্চয় যারা তাদের প্রতিপালকের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে, যারা তাদের রবের কথাকে অন্তর থেকে বিশ্বাস করে এবং যারা তাদের প্রাপ্ত সম্পদ থেকে শঙ্কিত ও কম্পিত হৃদয়ে এ কারণে দান-সাদাকাহ করে যে, তারা তো অবধারিতভাবে তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। এরাই কল্যাণের পথে দ্রুত ছুটে যায় এবং থাকে অগ্রগামী।”
আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা সূত্রে সুনানুত তিরমিযী’র বর্ণনা, তিনি বলেন, “ আল্লাহর রাসূল-এর কাছে আমি এই আয়াত সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম, “এই ব্যক্তিরা কি মদপান, ব্যভিচার এবং চৌর্যবিত্ততে অভ্যস্ত?” আল্লাহর রাসূল তখন উত্তরে বলেন, “ সিদ্দীকের কন্যা! বিষয়টি এমন নয়। বরং তারা নিয়মিত নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান-সাদাকাহ করে। তবে তারা এই আশঙ্কাও বোধ করে, হয়তো তাদের এই নেক আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। এজন্য এরাই হলো প্রকৃতপক্ষে কল্যাণের পথে দ্রুতগামী। ” – তিরমিজি ২৪৫০।
[ রুহের খোরাক ; ইবনুল কাইয়ুম রহঃ ]