ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিজেপি প্রধান আরনেস্ট মাওরি বলেছেন, রাজ্যে গরুর মাংস খাওয়ার ওপর তাঁর দল কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবে না। এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী সোমবার মেঘালয়ের ৬০ আসনের বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিজেপি তাদের অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যটিতে গরুর মাংস খাওয়ার ইস্যুটি আলোচনার কেন্দ্রে আছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাওরি বলেন, ‘মানুষের খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে, তা রাজ্যের মাথা ঘামানোর বিষয়, কেন্দ্রের বিষয় নয়। আমাদের এখানে গরুর মাংস খাওয়ার রীতি আছে এবং দলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। অন্য দলটি গরুর মাংস নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে গরুর মাংস খাওয়ার ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না। এটি একটি সংস্কৃতি, জীবনযাপনের উপায়। আমরা এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করব না।’
মেঘালয় রাজ্যটি খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত। মাওরি বলেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া জনমুখী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানার পর এখন মেঘালয়ের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরাও বিজেপিকে সমর্থন দিচ্ছেন। মেঘালয়ে আমরা কখনোই ধর্মবিরোধী অবস্থান নিইনি। এখানকার জনগণ প্রতিবেশী রাজ্য আসামের মতো উন্নয়ন দেখতে চান।’
২০১৮ সালে মেঘালয়ে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজেপি শুধু দুটি আসনে জয় পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে ৬০টি আসনের সব কটিতেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। মাওরির আশা, এবারের নির্বাচনে তাঁর দল দুই অঙ্কের (ডাবল ডিজিট) আসনসংখ্যায় জয় পাবে। পরবর্তী রাজ্য সরকার গঠনে দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে নিজেও গরুর মাংস খান বলে মন্তব্য করার পর বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন মাওরি। গতকাল বৃহস্পতিবার শিবসেনার মুখপত্র সামানার এক সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘যে এলাকায় বিজেপি সরকার নেই, সেখানে তারা গরুর ইস্যুটি তোলে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দেয়। বিজেপির এ হিন্দুত্ব কর্মসূচি শুধুই লোকদেখানো, গরুর প্রতি তারা যে প্রেম দেখায়, তা ভণ্ডামি।’