।।নেকসন্তান লাভের দোয়া।।
সন্তান না থাকলে, সন্তানের জন্য দু‘আগুলো পড়া। সন্তান থাকলে তাদের ভালাইয়ের জন্য দোয়াগুলো পড়তে পারিঃ-
১) প্রথম দোয়াঃ
رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তোমার নিকট হতে কোনো পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি দু‘আ শ্রবণকারী।
(আলে ইমরান ৩৮)
২) দ্বিতীয় দোয়াঃ
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকেও নামায কায়েমকারী বানিয়ে দিন এবং আমার আওলাদের মধ্য হতেও (এমন লোক সৃষ্টি করুন, যারা নামায কায়েম করবে)হে আমার প্রতিপালক! এবং আমার দোয়া কবুল করে নিন।
(ইবরাহীম ৪০)
৩) তৃতীয় দোয়াঃ
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
হে আমার প্রতিপালক! আমাদেরকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পক্ষ হতে দান করুন নয়নপ্রীতি এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও।
(ফুরকান ৭৪)
৪) চতুর্থ দোয়াঃ
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তাওফীক দান করুন, যেন আপনি আমাকে ও আমার মাতাপিতাকে যে নি‘আমত দিয়েছেন তার শোকর আদায় করতে পারি, যাতে আপনি খুশি হন এবং আমার জন্য আমার সন্তানদেরকেও (সেই) যোগ্যতা করুন। আমি আপনার কাছে তাওবা করছি এবং আমি আনুগত্য প্রকাশকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
(আহকাফ ১৫)
৫) পঞ্চম দোয়াঃ
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
হে আমার রব্ব! আমাকে একা রেখে দিও না, আর তুমিই শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী।
(আম্বিয়া ৮৯)
৬) ষষ্ঠ দোয়াঃ
رَبِّ هَبۡ لِی مِنَ ٱلصَّـٰلِحِینَ
ইয়া রব, আমাকে নেককার সন্তান দান করুন।
(সাফফাত: ১০০)
৭) সপ্তম দোয়াঃ
هَبۡ لِی مِن لَّدُنكَ وَلِیࣰّا
ইয়া রব, আপনি আমাকে এক উত্তরাধিকারী দান করুন।
(মারয়াম: ৫)
৮) এটা কোনো দু‘আ নয়।
আয়াতটা পড়ে, রাব্বে কারীমের কাছে আবদার জুড়তে পরি, ইয়া রাব্বা, আমাকেও এদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন,
جَنَّاتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَالْمَلَائِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ مِنْ كُلِّ بَابٍ.سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ
(অর্থাৎ) স্থায়ীভাবে অবস্থানের সেই উদ্যানসমূহ, যার ভেতর তারা নিজেরাও প্রবেশ করবে এবং তাদের বাপ-দাদাগণ, স্ত্রীগণ ও সন্তানদের মধ্যে যারা নেককার হবে, তারাও। আর (তাদের অভ্যর্থনার জন্য) ফেরেশতাগণ তাদের নিকট প্রত্যেক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে (আর বলতে থাকবে) তোমরা (দুনিয়াতে) যে সবর অবলম্বন করেছিলে, তার বদৌলতে এখন তোমাদের প্রতি কেবল শান্তিই বর্ষিত হবে এবং (তোমাদের) প্রকৃত নিবাসে এটা কতই না উৎকৃষ্ট পরিণাম।
(রা‘দ ২৩-২৪)
৯) এটা সবসময়ে আমল। যাদের সন্তান আছে, তাদের জন্য। যাদের সন্তান নেই তাদের জন্যও। যারা বিয়ে করে্ছেন, তাদের জন্য। যারা বিয়ে করেননি তাদের জন্যও। রাব্বে কারীম নেকসন্তান দান করুন। আমীন।
– শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ