রাবী ইবনে খাইসাম রহ. বলেন, সাহাবায়ে কেরামরা আজ আমাদের অবস্থা দেখলে বলতেন, আরে এরা তো বিচার দিবসের প্রতি ঈমানই রাখে না। (ফায়জুল কাদীর ৩/৪৭৮)
এটা তো রাবী রহ. এর যুগের অবস্থা অর্থাৎ তাবেঈদের যুগ বা খায়রে কুরুনের যুগের কথা কিন্তু সাহাবারা যদি আজ আমাদের অবস্থা দেখতেন, তাহলে কী বলতেন?
“যদি তোমরা সাহাবীদের দেখতে, তাদের তোমরা পাগল বলতে; আর যদি সাহাবায়ে কেরাম তোমাদের দেখতো, তাহলে অমুসলিম বলতো“।
————- হযরত হাসান আল বসরী (রহঃ)
গ্রন্থসূত্রঃ হিলইয়াতুল আউলিয়া(২/১৩২৪)
কথাটা আমাদের আমলে বলা হয়নি, বরং সাহাবিদের (রাঃ) ঠিক পরে তাবেঈনগণের আমলে তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। ভাবা যায়?
আমাদের আমলের ফিতনাময় জীবনযাপন দেখলে হাসান বসরী (রহঃ) কি যে বলতেন, তা ভাবনারও অতীত!
এক ব্যক্তি হযরত হাসান বসরী (রহ.) এর কাছে এসে বলল ।
–হযরত! আমার অন্তর মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে।
হযরতঃ তা কিভাবে?
আগন্তুকঃ হযরত! আপনি তা’লীম করেন, ওয়াজ নসীহত করেন, কিন্তু আমার অন্তরে এসবের কোন প্রতিক্রিয়া-ই আমি লক্ষ্য করি না।
হযরতঃ আচ্ছা! ঘটনা যদি এমনই হয়, তাহলে শুন! তােমার অন্তর ঘুমিয়ে নয়; বরং মরে গেছে।
আগন্তুকঃ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, হযরত! অন্তর আবার মরে কিভাবে?
হযরত : দেখ! যে লােকটি সত্যিই ঘুমিয়ে আছে তাকে নাড়া দাও, সে জেগে উঠবে, পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নাড়লেও উঠে না, সে ঘুমন্ত নয়; বরং মৃত।
সুতরাং, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার কালাম শুনল, প্রিয় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস শ্রবণ করল। এতদসত্ত্বেও অন্তরের মধ্যে কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া অনুভব করল না। নি:সন্দেহে এটি অন্তর মরে যাওয়ার স্পষ্ট লক্ষণ।
❝মুখের দাগে বিচলিত তুমি
দেখ আয়না বারে বার
আত্মার কোন খবর রাখ কি
সে যে কুৎসিত কদাকার।❞
বি:দ্র: পোস্ট ও লেখা বদকার এবং আমলহীন এলেম ওয়ালাদের জন্য, যেমন আমি। আল্লাহ রহম করুন।
©