গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় এবারও ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন। প্রথম পর্বের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার আসরের নামাজের পর মূল বয়ান মঞ্চ থেকে ৭০টি বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ে পড়ান ভারতের দিল্লির মাওলানা যুহাইরুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম পর্ব। এই পর্বে অংশ নিয়েছেন তাবলিগ জামাতে জুবায়েরপন্থী হিসেবে পরিচিতরা। এরপর ২০ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ওই পর্বে অংশ নেবেন সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।
মাঠে পাটি, চট দিয়ে বিছানা পেতে বসে বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা। শনিবার সকালে ইজতেমা মাঠের ভেতরে
প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা জহির ইবনে মুসলিম বলেন, প্রতিবার ইজতেমাতেই হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে বর ও কনেপক্ষের সম্মতিতে যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও ৭০টি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিয়েতে আগ্রহী বর, কনে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ইজতেমা মাঠের বিশেষ কামরায় নেওয়া হয়। এরপর সবার সম্মতিতে মাওলানা যুহাইরুল ইসলাম তাঁদের বিয়ে পড়ান। বিয়ে শেষে সব মুসল্লিকে নিয়ে নবদম্পতির জন্য দোয়া করা হয়।
জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ‘এটা আমাদের ইজতেমার রেওয়াজ। করোনার কারণে টানা দুই বছর ইজতেমা বন্ধ থাকায় এ কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। তাই এবার ইজতেমা হওয়ায় আবারও অনুষ্ঠিত হয় বিয়ে। বিয়েতে অংশ নেওয়া বর, কনে, অভিভাবক সবাই খুব আনন্দিত।’
প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার। এ উপলক্ষে শনিবার রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে ট্রাফিক পুলিশ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না।
সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলবে রোববার আখেরি মোনাজাতের পর পর্যন্ত।