বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চান। জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
শনিবার বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়িতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এবার আর ভোট চুরি করতে দেওয়া যাবে না। ভোটচোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। ভোটচোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য সরকার নির্বাচিত করতে হবে। দেশের মানুষের একটাই দাবি, এই সরকারকে বিতাড়িত করা।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী করবে, সেই সম্পর্কে ধারণা দেন দলটির জ্যেষ্ঠ এই নেতা। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচিত হলে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না। জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা হবে। দরিদ্রদের ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যাঁরা চাকরি পাবেন না, তাঁদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বেকার ভাতা হিসেবে বরাদ্দ থাকবে।
বিএনপি নির্বাচিত হলে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না। জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করা হবে। দরিদ্রদের ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যাঁরা চাকরি পাবেন না, তাঁদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বেকার ভাতা হিসেবে বরাদ্দ থাকবে।
বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিএনপি রাষ্ট্ররূপান্তরমূলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এ জন্য গণতন্ত্রকামী সব দল ও শক্তিকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগণের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। পরিচালনা করেন নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমসম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।