গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ছয় মাসে টোল আদায় করা হয়েছে ৩৯৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা। আর যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯০টি। প্রতিদিনের গড় টোল আদায় ২ কোটি ১২ লাখ ৫১ হাজার ৯১৭ টাকা। প্রতিদিন গড়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ১৪ হাজার ৭১৮টি।
পদ্মা সেতুর টোল আদায় করার জন্য জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় ও মুন্সিগঞ্জ প্রান্তের মাওয়ায় দুটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। টোল পরিশোধ করে সেতুতে ওঠার জন্য ছয়টি করে বুথ রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে টোল দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন ঢাকার দিকে যায়। আর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যায় যানবাহন।
কোন প্রান্তে কত টাকা টোল আদায় হয়, তা প্রতিদিন ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের কাজটি যৌথভাবে করছে পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন। তাদের পক্ষে মাঠপর্যায়ে এ কাজটি করছে বাংলাদেশের টেলিটেল কমিউনিকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর আদায় করা টোলের টাকা জমা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রাজন বিশ্বাস বলেন, টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান টেলিটেল প্রতিদিনের আদায়ের হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার পর সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়ে যায়। আর সেতুর কোন প্রান্ত দিয়ে কত যানবাহন পারাপার হয়, কোন প্রান্তে কত টাকা টোল আদায় হয়, তা প্রতিদিন ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টেলিটেল কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন বলেন, টোল প্লাজা সার্বক্ষণিক খোলা থাকে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যানবাহন পারাপার হচ্ছে। মাঝে মাঝে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তখন কিছু সময়ের জন্য টোল প্লাজার সামনে যানজট সৃষ্টি হয়।
শরীয়তপুরের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আমরা বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী শরীয়তপুর আনা-নেওয়া করি। ২৬ জুনের আগে তা নৌপথে আনা-নেওয়া করতাম। তাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হতো। এখন নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রাকে করে মালামাল পরিবহন করছি। এতে সময় কম লাগছে, ঝুঁকিও তেমন নেই।’