তারাবীর সালাতে ইমাম যখন ভুল করেন, টের পাই আশপাশের মহিলারা নড়ে ওঠেন, বা অভ্যাসে এক হাতের ওপর আরেক হাত দিয়ে বাড়ি দেন। ইমাম তো শুনবেন না এত দূর থেকে। তাও অভ্যাসে হয়ে যায় এমন। কেন জানেন? কারণ এই মহিলারা হাফিজা। একজন যে হাফিজা, এটা বুঝতে তাকে জিজ্ঞেসও করা লাগে না বেশিরভাগ সময়। খুব সামান্য তিলাওয়াতের ভুলও ধরতে পারছেন, পুরুষরা কেউ ইমামকে শুধরে দেয়ার আগেই এই মহিলারা নড়ে উঠছেন- বুঝাই যায় যে, মুখস্থ। শুধু তাই না। খুঁজলে দেখা যাবে এদের অনেকে সনদপ্রাপ্ত। হয়তোবা ইমামের চেয়েও বেশি কোয়ালিফাইড। হয়তোবা কেন- এমন কত আছে!
একটা গ্রূপে আছি, প্রতিদিন সকালে আরব মহিলারা তিলাওয়াত করেন। মহিলাদের তিলাওয়াত রেকর্ড/প্রচার করা হয় না। নাহলে পুরুষ কত ক্বারীকে হার মানাতেন এই বোনেরা! (গ্রূপের লিংক দেয়ার অনুমতি নেই তাই অনুগ্রহ করে লিংক চাইবেন না)
নারীদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে পুরা দুনিয়া ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে, এটা হলো মুসলিম নারীর “উচ্চশিক্ষা”। বুঝেছেন?
আর এই যে উচ্চশিক্ষিতা হয়েও চুপ করে থাকা, পুরুষ ইমামের পেছনেই সালাত আদায় করা, আল্লাহর সীমায় থাকা- এটাও উচ্চশিক্ষা এবং সেই শিক্ষার প্রয়োগ। এঁরা আল্লাহর বান্দা। তাই আল্লাহর সীমাতেই থাকবেন। এঁদের জ্ঞান অর্জন আল্লাহর জন্য, সেই জ্ঞানের প্রয়োগও আল্লাহর জন্য। কথা বলা আল্লাহর জন্য। আর চুপ থাকাও আল্লাহর জন্য। যেহেতু আল্লাহর জন্য, তাই সব কিছু আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় থেকেই হবে। তার বাইরে যেয়ে না।
তাই সত্যিকারের মুসলিম নারীদের “বেচারী” ভাবার ভুলটা করবেন না যেন। এখানে “আমি বেশি না আমি কম” এর ব্যাপারই নেই। “আল্লাহ যা চান, আমি তাইই হব”- এটাই লক্ষ্য- আর হ্যাঁ, এই লক্ষ্যে মুসলিম/মুসলিমাহ তে ভেদাভেদ নেই।
একজন পুরুষ ইমাম হন আল্লাহর জন্য। আর একজন নারী পুরুষদের ইমামতি করেন না সেটাও আল্লাহর জন্য। মুসলিম নারীদের “বেচারী” হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না!
– উস্তাযা নায়লা নুযহাত