রংপুরে ২৯ শে মার্চ দুপুরে জাহাজ কোম্পানির মোড়ে আজাহার প্লাজা ক্রোকারি মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে।
৯ এপ্রিল (শুক্রবার) দুপুর বারোটায় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের হলরুমে ক্রোকারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
আলমগীর হোসেন থানায় এজাহার না নেওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন
রংপুর শহরের জাহাজ কোম্পানির মোড়ে আজাহার প্লাজা মার্কেটের ক্রোকারির ব্যবসা রয়েছে। ২৯ শে মার্চ একদল সন্ত্রাসী তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে, তাকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে, অফিসের ঘরে ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা লুট করে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন দিন ধরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন,
স্থানীয় অস্ত্রের সাথে সজ্জিত ১০/১৫ যুবকরা বেলা ১ টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে এসে আমার দোকানের অফিস চেম্বারে আমাকে একা দেখতে পেলেন। জাহাঙ্গীর, বাবু ও গোলাম মোস্তফা আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। এ সময় আরাফাতের মাথায় আঘাতের কারণে মাথায় আঘাত করা হয়, যার ফলে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয় এবং আহত হয়। এ উপলক্ষে আরাফাত আমার অফিসের ঘরে নগদ বাক্সটি খুলল এবং জোর করে ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ টাকা) নিয়ে যায়। আমি আরাফাতের সঙ্গীকে তার স্বাস্থবান প্রকৃতির হওয়ায় দেখলেই চিনতে পারব। তিনি আমার মনিটর, সিসি, ক্যামেরা ইত্যাদি ভাঙচুর করেছিলেন।
এ কারণে তিনি পঞ্চাশ হাজার (পঞ্চাশ হাজার) টাকা লোকসান করেছেন। আমি যখন তাকে ওই অবস্থানে বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করি, তখন সে আমার দুই হাত দিয়ে আমার গলা চেপে ধরেন এবং আমাকে হত্যার অভিপ্রায় দিয়ে আমার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি যখন তার গলা থেকে হাত সরিয়ে চিৎকার শুরু করতে মরিয়া চেষ্টা করি তখন অন্য আসামিরা আমাকে আবার মারধর শুরু করে। যার সিসি ফুটেজ রয়েছে। এদিকে, ঘটনার সিসি ফুটেজ সহ দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
দুঃখের সাথে বলতে হবে, আমি আমার বাবার সাথে সেদিন দোকানে ছিলাম। দুপুরে এত বড় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা নেয়নি। যেখানে আমার বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মহাদেতে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। বিবৃতিটি আমাকে তিনবার লেখা হয়েছিল এবং বিভিন্নভাবে ঘোরানো হয়েছিল। শেষ পর্যায়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে আদালতে মামলা করতে বলেন।
আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছিলেন যে, কোন উপায় না পেয়ে তিনি আজ রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং আপনার সহ লোকজনকে অবহিত করতে চাইবেন কেন আমার এজহার থানায় নেওয়া হয়নি এতো প্রমান থাকা শর্তেও? আমি ন্যায়বিচার চাই “আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার অভিযোগ না নেওয়ার আমি ন্যায়বিচার চাই। ‘