” একসময় মঙ্গোলীয়রা মুসলিমদের শাসন করেছিলো। হালাকু খান ছিল মঙ্গোলীয়দের অন্যতম একজন নেতা যে নির্বিচারে মুসলিমদের হত্যা করতো।
একদিন হালাকু খানের মেয়ে শহরে ঘুরতে বের হলো। হঠাৎ সে দেখলো একদল লোক একজন মানুষকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে আর তাকে নানা রকম প্রশ্ন করছে।
মেয়েটি লোকগুলোকো জিজ্ঞেস করল –
” এই লোকটি কে?”
লোকগুলো বলল –
” উনি একজন মুসলিম আলিম। ”
মেয়েটি বলল –
” তাই নাকি? সে একজন আলিম? ”
মেয়েটি শায়খকে অপমান করতে চাইলো।
সে শায়খকে বলল,
” আচ্ছা, তোমরা মুসলিমরা বলো না তোমাদের কুরআনে আছে, আল্লাহ তোমাদের বিজয়ী করবেন, সম্মানিত করবেন, তোমরাই হবে এই যমীনের উত্তরাধিকারী?
কিন্তু তোমাদের কুরআন তো মিথ্যা বলে, আমরাই তো তোমাদের শাসন করছি। দেখোই না,আমি যদি আমার লোকদের আদেশ করি তাহলে তারা তোমাকে হত্যা করবে আর তোমার কিছুই করার থাকবে না। কারন তোমরা আমাদের অধীনস্থ। ”
সেই আলিম উত্তরে বললেন,
” তুমি কি জানো, রাখালরা যখন ভেড়ার পাল চরাতে যায় তখন সঙ্গে করে কয়েকটা কুকুর নিয়ে যায়? বলতো কুকুরগুলো সাথে নেয়ার উদ্দেশ্য কি? ”
মেয়েটি বললো,
” যখন কোনো ভেড়া পাল থেকে বেড়িয়ে যায় তখন কুকুরগুলো ছেড়ে দেয়া হয়, আর কুকুরগুলো ভেড়াগুলোকে ধাওয়া করে পালে ফিরে নিয়ে আসে। সেই জন্য রাখালেরা কুকুরগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যায়। ”
তারপর শায়খ বললেন,
” তোমরা হলে সেই কুকুর।
আল্লাহ তোমাদের আমাদের উপর লেলিয়ে দিয়েছেন যাতে করে আমরা কুরআন ও সুন্নাহর পথে ফিরে আসি।
যেই মাত্র আমরা কুরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আসবো তৎক্ষণাৎ তিনি তোমাদের আবদ্ধ করবেন। আমরা তখনই বিজয়ী হবো যখন আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে আসবো। ”
– শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল হাফিজাহুল্লাহ