রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’র সামনের সড়কের দুই দিকে রোববারও নিরাপত্তাচৌকি বসিয়ে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। সকাল থেকে সড়কের দুই পাশে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তবে বেলা দুইটার পর থেকে একদিক দিয়ে রিকশা চলাচল করতে দেয়।
গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে শনিবার রাতে নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ রোববার সকাল থেকে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে বেলা আড়াইটায় পশ্চিম দিক থেকে আসা রিকশা ৭৯ নম্বর সড়কে চলাচল করতে দিলেও পূর্বদিক থেকে আসা রিকশা ঢুকতে দেয়নি।
রোববার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে নিরাপত্তাচৌকিতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
পূর্ব দিকের নিরাপত্তাচৌকিতে গুলশান থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বেল্লাল হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা পূর্বদিক থেকে আসা রিকশাগুলো ৭৯ নম্বর সড়কে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
বেল্লাল হোসেন বলেন, নিরাপত্তার কারণে রিকশাগুলো ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে রিকশার যাত্রীর বিশেষ অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে কাউকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সন্দেহজনক গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, খালেদার বাসভবনে যেসব গাড়ি প্রবেশ করবে, শুধু সেসব গাড়িতেই তল্লাশি চালানো হবে।
খালেদা জিয়ার বাড়ির প্রধান ফটকে দায়িত্বরত দুজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘আজ (রোববার) ম্যাডামের বাড়িতে বাইরে থেকে কেউ আসেননি। বাড়ির কেউ গাড়ি নিয়ে বাইরে যাননি। ম্যাডামের বাড়িতে যদি কেউ আসেন বা বাড়ি থেকে বের হন তাঁদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ এখানে দুটি নিরাপত্তাচৌকি বসিয়েছে।’
বিএনপি বলছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় তাদের সমাবেশ সামনে রেখে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশের এ নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। যেমন এর আগে (২০১৩ সালে ২৯ ডিসেম্বর) ‘ফিরোজা’র সামনের রাস্তায় দুটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে খালেদা জিয়ার বাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে পুলিশের বাধায় গুলশানের বাসা থেকে বের হতে পারেননি তিনি।