দিন–তারিখ ঠিক করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো যায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তিনি বলেছেন, সরকার উন্নয়নের কথা বলে দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে এসেছে। লুটপাট করে দেশকে ফাঁকা করে ফেলেছে। তাই দুর্ভিক্ষের আগে দুর্বৃত্ত সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের পাশে বক্স কালভার্ট রোডে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নুরুল হক এ কথা বলেন। এই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব। তিনি বলেন, ‘কে ক্ষমতায় আসবে, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, সেটা নিয়ে আলোচনার সময় এখন নয়। দেশের জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। তাই যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে সরকার পতনের গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এই সরকার যতই প্রলোভন দেখাক, গণ অধিকার পরিষদ কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আঁতাত করবে না, কোনো ষড়যন্ত্রে পা দেবে না বলে উল্লেখ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, হেফাজতের মতো বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন করতে সরকার বিএনপিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো আবদ্ধ জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা বিএনপির জন্য ভালো হবে না।
ক্ষমতাসীনেরাই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে সহিংসতা করছে বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আর মামলা দেওয়া হয়েছে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নামে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, অবৈধ সরকার দেশ চালাতে পারছে না। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। জনগণ অর্থনীতির একটা স্থিতিশীল অবস্থা চায়। জনগণ চায় জিনিসপত্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকুক।
গণ অধিকার পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, হাসান আল মামুন, ফারুক হাসান, শহিদুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান, জিসান মহসিনসহ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা।