নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতা-কর্মী।শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আহত নেতা-কর্মীরা হলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি বাবুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সুধীন্দ্র চন্দ্র দাস, যুবদল নেতা দুলাল মিয়া, কৃষক দল কর্মী তোফাজ্জল মিয়া, মো. মুশফিক ও সাফিন মিয়া।
বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রহমত আলী অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষকদের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ছয়জন নেতা-কর্মী। তাঁদের বারহাট্টা ও নেত্রকোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল কবির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী বিএনপির কার্যালয়ে হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাননি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে তাঁদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বীজ বিতরণের সময় হামলা চালানো হয়েছে। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। দেশব্যাপী বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সরকার নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। হামলা, মামলা, দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফুল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।