মেয়েদের সাঁতার কাটতে দম কম লাগে কেন?
চলতি কথায় আমরা বলি হালকা জিনিস পানিতে ভাসে আর ভারী জিনিস ডুবে যায়। ভারী বা হালকা বলতে এখানে কি বোঝাচ্ছে?
কোন জিনিসের ওজন তার সমান আয়তনে পানির তুলনায় যতটা বেশি সেটাকে বলে তার আপেক্ষিক গুরুত্ব। যে জিনিসের আপেক্ষিক গুরুত্ব কম তাকে আমরা হালকা বলি। যেমনঃ কাঠ। কাঠ হালকা বলেই পানিতে ভাসে। আর এক টুকরো লোহার আপেক্ষিক গুরুত্ব বেশি বলে তা পানিতে ডুবে যায়।
আপনি কি জানেন, লোহাকেও কিন্তু পানিতে ভাসানো যায়?
হ্যাঁ যায়। তবে শর্ত আছে। শর্তটি হলো যদি তাকে এমন আকার দেয়া যায় যে পানিতে ভাসবার সময় ঐ লোহা যতটা পানি সরাবে তার ওজন লোহার ওজনের থেকে বেশি হয়।
যেমন লোহার তৈরি জাহাজ পানিতে ভাসে। পানিতে ডোবা অবস্থায় কোন জিনিসের ওজন কমে যায়। কতটা কমে যায়?
ওই জিনিস যতটা পানি সরাতে পারে সেই পানির ওজনের সমান ওজন কমবে। এই ওজন কমার ব্যাপারটা কিন্তু আসলে সত্যি নয়। কোন জিনিস পানিতে ডোবা অবস্থায় পানি ওই জিনিসটাকে উর্ধ্ব চাপ দেয়। একে বলে প্লবতা।
আমাদের হাড়গোড়ের ওজন যথেষ্ট বেশি। বিশেষ করে মাথার ওজন তার আয়তনের তুলনায় বেশি বলে মাথাটা জলের নিচে তলিয়ে যেতে চায়।
সাঁতারের সময় আমরা হাত পা ছুঁড়ে বেশি পানি সরাই, যাতে সরানো পানির ওজন আমাদের দেহের ওজনের থেকে বেশি হয়। তবেই আমরা ভাসতে পারি।
হাত পা ছোঁড়া মানেই পেশীকে বেশি কাজ করানো। আর পেশী বেশি কাজ করা মানেই চাই বাড়তি অক্সিজেন। এজন্যই সাঁতারে বেশ দম লাগে।
এখন প্রশ্ন হলো, মেয়েদের সাঁতার কাটতে দম কম লাগে কেন?
কারণ, মেয়েদের শরীরের গঠন এরকম যে, তাতে চর্বির পরিমাণ বেশি। চর্বির আপেক্ষিক গুরুত্ব কম। তাই আয়তনে তুলনায় তুলনায় মেয়েদের ওজন কম। এজন্যই মেয়েদের সাঁতার কাটতে বেশি সুবিধা হয় আর দমও কম খরচ হয়।
তথ্য সংগ্রহেঃ মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া